স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: জোড়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে ভারী ঝড়বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। মঙ্গলবার দুপুরে মুষলধারে বৃষ্টি নামে। সঙ্গে বিদ্যুতের চমক। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান ও নদিয়া জেলা জুড়ে দফায় দফায় তুমুল বৃষ্টি হয়। এদিন বাজ পড়ে রাজ্যে চার জনের মৃত্যু হয়েছে৷ তারমধ্যে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে খাস কলকাতায়৷
আরও পড়ুন: ১৯ অধ্যাপক-সহ ৪৪ কর্মীর মৃত্যু আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে! নতুন ভ্যারিয়েন্টের আশঙ্কা
এদিন টানা তিন ঘণ্টা বৃষ্টিতে জল জমে যায় শহরের বিভিন্ন এলাকা৷ রাজভবনের সামনেও জল জমে৷ বিকেলে সেই জল ঠেলেই বাড়ি ফিরছিলেন এক অফিস ফেরত ব্যক্তি। রাজভবনের সামনে থাকা ল্যাম্পপোস্ট ছুঁতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ এদিকে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার পুঠিমারী মাঠে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। মৃতের নাম নাজির হোসেন (৩৫)। এছাড়াও পূর্ব বর্ধমান জেলায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। মৃতদের নাম সঞ্জয় প্রামাণিক ও শরিফ মুন্সি।
আরও পড়ুন: এটা চিনের চাপিয়ে দেওয়া বিশ্বযুদ্ধই, রিপোর্ট বলছে করোনা সেই যুদ্ধের জৈব অস্ত্র
এদিন উত্তরবঙ্গের মালদহতে বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রবল শিলাবৃষ্টি হয়েছে। যার জেরে জেলার আমচাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সঙ্গে পাট চাষেও ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে যে সমস্ত জমিতে ধান কেটে রাখা ছিল সেই ধান ভিজে গিয়েছে বলে মাথায় হাত চাষিদের।
আরও পড়ুন: নাসিকের পর গোয়া! ট্যাঙ্কার লিক করে গলগল করে বার হচ্ছে অক্সিজেন
পূর্বাভাস অনুসারে দক্ষিণবঙ্গজুড়ে আগামী ৪৮ ঘণ্টা ধরে চলবে এই বৃষ্টি। ভারী বর্ষণের সঙ্গে বজ্রপাতের সতর্কতাও রয়েছে। তবে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, যদিও পশ্চিমে জেলাগুলোতে এই সময়ে বৃষ্টিপাত হবে না। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি এলাকায় দুপুর ২ টো থেকে ৩টের মধ্যে ৮৭.৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। চিংড়িঘাটায় হয়েছে ৬৭.৫ মিলিমিটার। বীরপাড়ায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৬০.৮, ধাপায় ৮৬, দত্তবাগানে ৮২, ও তোপসিয়ায় ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.