ভ্যাকসিনের জন্য নাম নথিভুক্তি
অধীর চৌধুরী লিখেছেন, এখন দেশের বড় কাজ হল টিকাকরণ। তবে তার জন্য আগে থেকে নাম নথিভুক্ত করতে হচ্ছে। তারপরেই তাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের কো-উইন পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করে বহু মানুষ টিকাকরণের আশায় বসে রয়েছেন।
পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন
চিঠিতে অধীর চৌধুরী নাম নথিভুক্তির পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, দেশের একটা খুব ছোট অংশের বর্তমান প্রজন্ম আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর। তাঁদের হাতে কম্পিউটার কিংবা মোবাইল রয়েছে। যার জন্য লাগে ইন্টারনেট। কিন্তু গ্রামীণ ভারতের অনেক জায়গাতেই তার অসুবিধা।
পোস্ট অফিস, রেল স্টেশনকে ব্যবহারের আর্জি
প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে অধীর চৌধুরী উল্লেখ করেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে টিকাকরণের জন্য নাম নথিভুক্তির ক্ষেত্রে বিকল্প রাস্তা খোঁজা হোক। এব্যাপারে পোস্ট অফিস এবং রেলস্টেশনে ব্যবহার করা যেতে পারে। যেখানে যাঁদের কম্পিউটারের জ্ঞান নেই তাঁরা সহজেই নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন এবং সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন।
দিন দুয়েকর আগে মোদীর কাছে দাবি
দিন দুয়েক আগে অধীর চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে ছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, সংকীর্ণতাকে দূরে সরিয়ে রেখে উদারতার সঙ্গে কাজ করা দরকার। সব মানুষকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে অধীর চৌধুরী তাঁর এংপি ল্যাডের টাকায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসাতে অনুরোধ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন চিঠি চালাচালির সময় নেই। খুব তাড়াতাড়ি কাজ করতে হবে। পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় তাঁর এমপি ল্যাডের সব টাকা ব্যবহারের দাবি তুলেছিলেন।