দেশজুড়ে মহামারীর এই দ্বিতীয় রূপ ক্রমশ কঠিন রূপ ধারণ করছে। বহু মানুষ তাদের পরিজনদের হারিয়ে ফেলেছেন।

আবার অন্যদিকে আক্রান্তরা বুঝতে পারছেন না কিভাবে চিকিৎসা করাবেন। এর মধ্যেই ডাক্তারেরা পরামর্শ দিয়েছেন যে যাদের অবস্থা খুবই গুরুতর নয় তারা বাড়িতে থেকে নিজেদের চিকিৎসা করান।

এর জন্য হোম আইসোলেশন এ থাকা সব থেকে নিরাপদ। এমনকি এবার ধীরে ধীরে যারা হোম আইসোলেশন এ থেকে নিজেদের চিকিৎসা নিজেরাই করছেন তারা আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠছেন এমন খবরও পাওয়া যাচ্ছে।

এতে কিছুটা স্বস্তির আশ্বাস মিলেছে অন্যান্য আক্রান্তদের। একটি নতুন গবেষণা জানাচ্ছে যে যেসব রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হয়নি তাদের জন্য ভালো খবর এসেছে।

একটি বিখ্যাত জার্নাল “লেন্সেট” থেকে জানানো হয়েছে যারা হাসপাতালে ভর্তি হননি তাদের শরীরে এই ভাইরাস এর ক্ষতিকারক প্রভাব ততটা গভীরে প্রবেশ করতে পারেনি। এই পরীক্ষায় জানানো হয়েছে যে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়নি সেই সমস্ত রোগীদের মধ্যে এই ভাইরাসটির দীর্ঘকালীন প্রভাব এর সংখ্যা অনেক কম।

তবে তাদের একাধিকবার কোন না কোন ইনফেকশনের কারণে ছোটাছুটি করতে হতে পারে। ওই পরীক্ষায় জানানো হয়েছে ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার পর যাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না তাদের মধ্যে সুস্থতার পরে হওয়া বিভিন্ন সমস্যাগুলির আশঙ্কা কম থাকে।

যদিও এ পরীক্ষাটি বলছে যারা হাসপাতালে যান নি তাদের মধ্যেও আরোগ্য লাভের পরবর্তীকালে কোন গভীর সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও কিছুদিন পরে তাদের মধ্যে থ্রমবোএম্বলিজম রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। মহামারীতে আক্রান্ত হওয়ার রোগীরা সুস্থ হওয়ার দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ষষ্ঠ মাস পর্যন্ত ব্রঙ্কোডাইলেটর থেরাপি থেকে শুরু করে ডিস্পনিয়ার শিকার হতে পারেন।

সেই পরীক্ষা জানাচ্ছে যে তাদের মধ্যে দীর্ঘকালীন কোন ক্ষতিকারক প্রভাব না থাকলেও বারবার ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে এবং এই লক্ষণটি বোঝায় যে ভাইরাস কোন না কোনভাবে তাদের শরীরকে কাবু করেছে। এর আগে অন্যান্য সমস্ত পরীক্ষায় দাবি করা হয়েছে যে করোনা আক্রান্তদের শরীরে এই রোগটি দীর্ঘ সময় ধরে প্রভাব বিস্তার করে থাকে।

এই আক্রান্তদের মধ্যে নানা ধরনের মানসিক সমস্যা, হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যা, ডায়াবেটিস এবং ক্লান্তি জনিত সমস্যার লক্ষণ দেখা যায়।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.