চেন্নাই সুপার কিংসের ব্যাটিং কোচ মাইক হাসিকে নিয়ে উদ্বেগ বাড়ল। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর দিল্লি থেকে তাঁকে চেন্নাই আনা হয়েছিল। ফের তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
সিএসকে-র ব্যাটিং কোচ মাইক হাসির করোনা পজিটিভ ধরা পড়ার খবর সামনে এসেছিল বোলিং কোচ লক্ষ্মীপতি বালাজি ও এক বাসকর্মীর রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরই। এরপর বালাজি ও হাসিকে এয়ার অ্যাম্বল্যান্সে চিকিৎসার জন্য দিল্লি থেকে চেন্নাই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। করোনা আক্রান্তদের এভাবে এক শহর থেকে অন্য শহরে নিয়ে যাওয়া নিয়ে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয় সিএসকে ম্যানেজমেন্টকে।
চেন্নাইয়ে চিকিৎসার তত্ত্বাবধানে থেকে হাসির শারীরিক অবস্থার উন্নতিও ঘটছিল। গত শনিবার তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় সিএসকে যেমন স্বস্তি পেয়েছিল তেমনই স্বস্তি এসেছিল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট মহলেও। যদিও হাসির করোনা পরীক্ষার সাম্প্রতিক রিপোর্ট ফের পজিটিভ এসেছে। ফলে তাঁকে মালদ্বীপ পাঠানোর পরিকল্পনা আপাতত ভেস্তে গিয়েছে। সুস্থ না হওয়া অবধি ভারতেই থাকবেন তিনি। হাসি ছাড়াও কেকেআরে থাকা নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার টিম সেইফার্টের চিকিৎসাও চলছে চেন্নাইতেই। সিএসকে কোচ স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের সঙ্গে তাই সেইফার্টের দেশে ফেরা সম্ভব হয়নি। হাসিও সুস্থ হয়ে মালদ্বীপে বাকি অজিদের সঙ্গে যোগ দেবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
আইপিএলে অংশ নেওয়া অস্ট্রেলিয়ার বাকি ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ, আম্পায়ার ও ধারাভাষ্যকাররা এখন রয়েছেন মালদ্বীপে। সংখ্যাটা সবমিলিয়ে ৩৮ জনের। অস্ট্রেলিয়া সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখায় অজিদের তাই মালদ্বীপেই অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কেউ এই নির্দেশ অমান্য করে দেশে ঢোকার চেষ্টা করলে ৬৬ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা ও পাঁচ বছর অবধি জেলও হতে পারে।
এদিকে, চলতি সপ্তাহের শেষেই মালদ্বীপে নিভৃতবাসে থাকা নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন, মিচেল স্যান্টনার, কাইল জেমিসন ও ফিজিও টমি সিমসেক টেস্ট সিরিজ থেকে ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। কিউই কোচ গ্যারি স্টেড অবশ্য এখনও নিশ্চিত নন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে ট্রেন্ট বোল্টকে পাওয়া যাবে কিনা সে ব্যাপারে। বোল্ট ইতিমধ্যেই নিউজিল্যান্ডে ফিরেছেন। সেইফার্টও কবে দেশে ফিরতে পারবেন তা নিয়েও এখনও পরিষ্কার ধারণা নেই স্টেডের।