আমরা সকলেই সবসময় সুখী থাকতে চাই আমাদের পরিবার নিয়ে। কিন্তু সুখের পথে আসবে বাধা।

বিভিন্নভাবে আমাদের মধ্যে অনেকেই বাস্তুশাস্ত্র বা চীনের বাস্তুশাস্ত্র ফেংশুইয়ের উপর বিশ্বাস রাখে। অনেকে ভাবেন এই ফেংশুইয়ে (chinese feng shui) যে নিয়মগুলির কথা বলা হয় সেগুলি মানলে জীবন কাটবে বিপদমুক্তভাবে।

বিভিন্ন ধরনের শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে বাস্তুশাস্ত্রের (vaastu) নিয়মগুলি। তবে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বেশ কিছু বস্তুর ব্যবহার করা হয়।

অনেক বাড়িতে কচ্ছপ, লাফিং বুদ্ধ (lughing buddha) , ড্রাগন ইত্যাদি দেখতে পাওয়া যায়। আমেরিকা ও এশিয়ায় বিপুল খ্যাতি লাভ করেছে এই বিশেষ বাস্তুশাস্ত্র। তবে এখন প্রশ্ন উঠছে এর কার্যকারিতা নিয়ে।

এর জন্য সবার আগে জানতে হবে ভারতীয় বাস্তুশাস্ত্রের সঙ্গে এর তফাৎ। পাঁচটি তত্ব নিয়ে ভারতীয় বাস্তুশাস্ত্র (vaastu) গড়ে উঠেছে।

এর মধ্যে ভূমি পরীক্ষা করা অন্যতম। এজন্য সেই স্থান চিহ্নিত করা, ভিত্তি স্থাপন করা এবং তারপর গৃহপ্রবেশের মাধ্যমে তা সম্পন্ন হয়।

এতে বিভিন্ন দিশা এবং বিভিন্ন শক্তির পাশাপাশি সূর্যের আলোর উপর নির্ভর করে কাজ করা হয়। বিভিন্ন বস্তুর থেকে বেশি পরিবর্তন, রঙ এবং মন্ত্র দিয়ে কাজ করা হয়।

এবার দ্বিতীয় প্রশ্ন হলো ভারতের জন্য এই চীনের বাস্তুশাস্ত্র কতটা কার্যকর? আসলে ভারতে বাস্তুতন্ত্র ভারতের পরিবেশের উপর নির্ভর করে তৈরি করা হয়েছে।

অন্যদিকে চীনের বাস্তুশাস্ত্র সেখানকার পরিবেশের উপর নির্ভর করে বানানো হয়েছে। চীনের পরিবেশ ভারতের পরিবেশ থেকে অনেকটাই আলাদা এবং তার প্রভাব ভারতের পরিবেশের উপর পড়ে না।

তাই মনে করা হয় যে বিদেশের বাস্তুশাস্ত্র (chinese feng shui) এদেশে ততটা কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে না। এবার প্রশ্ন হল লাফিং বুদ্ধা যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছে।

তাই এটি বাড়িতে আনলে কতটা শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে? প্রথমেই বলা হলো যে এটি চিনের ফেংশুইয়ের (chinese feng shui) বিশ্বাস থেকে তৈরি করা হয়েছে।

তাই ভারতীয় পরিবারের এর বিশেষ ভূমিকা নেই। এই মূর্তির বদলে বাড়িতে আনতে পারেন গণেশের মূর্তি।

এতে আপনার সংসারের মঙ্গল হবে এবং শান্তি বজায় থাকবে। বাড়িতে যে গণেশ মূর্তি আনবেন সেটা যদি হলুদ রঙের হয় তাহলে আরো ভালো ফল পাবেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.