ঢাকা: বিপদ এসে গিয়েছে। বাংলাদেশে প্রবেশ করছে করোনার ভারতীয় ধরনটি। এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ উদ্বেগজনক বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। ভারতে শনাক্ত হওয়া বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত বাংলাদেশিদের সবাই সম্প্রতি ভারত থেকে এসেছেন। এরা প্রতিবেশি দেশের পশ্চিমবঙ্গে ছিলেন।
ইতিমধ্যে করোনার প্রবল হামলা, অক্সিজেন ও টিকা সংকটের কারণে ভারত বিপর্যস্ত। মৃত্যু বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি চিন্তার। এই সব বিবেচনা করে সীনান্তে আসা যাওয়া বন্ধ করেছে সরকার। কড়া নজরদারি চলছে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে সবকটি সীমান্ত চেক পোস্টে।
সামনেই ঈদ। আর ঈদ উপলক্ষে কর্মস্থল থেকে গ্রামের বাড়িতে ফেরার ঢল দেখে বিশেষজ্ঞরা উদ্বিগ্ন।
ঈদের পর আবার দেশে করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন তাঁরা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেছেন সবাইকে নিজ সুরক্ষার কথা মাথায় রাখতেই হবে।
ঈদ উপলক্ষে ঢাকা থেকে দূরবর্তী গন্তব্যের নৌ পরিবহণে চোখ রাখলেই আশঙ্কা বাড়বেই। সরকারের নিয়ম নির্দেশ উপেক্ষা করে যাত্রীদের থিকথিকে ভিড় সব ফেরি ঘাটে। লঞ্চে তিল ধারনের জায়গা নেই। করোনার দূরত্ববিধি লাটে উঠেছে। কঠোর লকডাউনের মধ্যেই মার্কেট শপিং মলে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ভিড় যেন কমছেই না।
গত ২ মে থেকে সব ফেরিঘাটে দেখা যায় ঘরমুখো মানুষের চাপ। জনস্রোত ঠেকাতে ফেরি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। শুধু পণ্য পরিবহণের ঘোষণা করা হয়। জনস্রোত ঠেকাতে বিজিবি মোতায়েন করা হলেও ত কোনও কাজ হয়নি। ফলে ফের ফেরি চালু করে দিতে অনেকটা বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। সাধারণ মানুষ যে কোনও উপায়ে ঢাকা ছাড়ছেন। কেউ ট্রাকে, কেউ পিকআপে কিংবা অনেকে পায়ে হেঁটেই রওনা হচ্ছেন গন্তব্যের দিকে।
শুধু রাজধানী ঢাকা নয়, বন্দরনগরী চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, সিলেট, যশোর, খুলনা, বরিশাল সর্বত্র একই ছবি। ঈদে ঘরমুখো জোয়ার মিলে করোনা সংক্রমণের ভয়কে বড় করে তুলছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, সীমান্ত এলাকায় ব্যাপক হারে করোনা টেস্ট এবং সেই এলাকার যানবাহন যাতে অন্য এলাকায় যেতে না পারে সেই বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.