ওয়াশিংটন: গোটা বিশ্বে সুনামির মত আছড়ে পড়েছে করোনার (COVID-19) তৃতীয় ঢেউ। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে একাধিক ভ্যাকসিনের মাধ্যমে সারা বিশ্বে জোর কদমে চলছে টিকাকরণ। তবে বেশিভাগ টিকা ১৮ -এর ঊর্ধ্বদের জন্য। অল্প বয়সী শিশুদের জন্য তেমন কোনও টিকা ছিল না এখন পর্যন্ত। এ বার ১২ থেকে ১৫ বছয় বয়সীদের জন্য ফাইজারের টিকাকে(Pfizer Vaccine) অনুমোদন দিল মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (US Food and Drug Administration)।

‘ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে এটি একটি আশাব্যঞ্জক বিকাশ’, বলে মনে করছেন রাষ্ট্রপতি জো বিডেন। এফডিএ কার্যকরী কমিশনার জানেট উডক বলেছেন এটি করোনা যুদ্ধে একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ। বিবৃতি জারি করে তিনি বলেছেন, “আজকের এই পদক্ষেপ আমাদের অল্প বয়সীদের করোনা থেকে রক্ষা করবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে আমরা অতিমারিতে ইতি টানতে পারব।” এর আগে ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে ফাইজারের টিকায় অনুমোদন দেওয়া ছিল। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে যে কেউ ফাইজারের করোনা টিকা নিতে পারবেন।

গত বছরের মার্চ থেকে এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সী করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ। সে দিকে নজর রেখে এফডিএর চিকিৎসক পিটার মার্কস জানান, কম বয়সীদের জন্য টিকার অনুমোদন পাওয়া মানে অতিমারির দুশ্চিন্তা অনেকাংশেই কমে যাওয়া। উল্লেখ্য, ভারতে ফাইজারের টিকার অনুমোদন নিয়ে কথা চলছে।

করোনা ভাইরাসের যে ভ্যারিয়েন্ট ভারতে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে তা নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় রয়েছে গোটা বিশ্ব। কারণ করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত। অল্প বয়সীদের মধ্যে এই ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত ছড়াচ্ছে। আর সেটাই আশঙ্কার কারণ। রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ভারতে গত বছর অক্টোবর মাসে করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট আবিষ্কৃত হয়। এই ভ্য়ারিয়েন্টের নাম B.1.617। আসল ভাইরাস থেকে এটি অনেক দ্রুত অন্যের শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে টিকাকরণের কারণে সম্ভবত কিছুটা সুরক্ষা এখনও পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে। কিছুটা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারছে ভ্যাকসিন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.