স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার মা-মাটি-মানুষের সরকার৷ তাই সেই সরকারের প্রতিনিধিদের মাটিতে পা রেখেই চলতে হবে৷ হতে হবে মাটির মানুষ৷ নিজের দলের জয়ী বিধায়কদের চিঠি দিয়ে সেই বার্তাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একইসঙ্গে বিধায়কদের ‘কর্তব্যের’ কথা মনে করিয়েছেন দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী৷
দলের বিপুল জয়ের জন্য দলীয় বিধায়কদের ধন্যবাদ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘তোমার এই জয় বাংলার মা-মাটি-মানুষের জয়৷ উন্নয়নের জয়৷ আর সর্বোপরি একতা, শান্তি, সম্প্রীতি, সংস্কৃতি, সভ্যতা এবং সৌভ্রাতৃত্বের জয়৷’ তৃণমূলের ঐতিহাসিক জয়ের জন্য বিধায়কদের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তিনি লিখেছেন, “মানুষদের ভরসার যোগ্য সম্মান দিতে হবে। সুখে দুঃখে তাঁদের পাশে থাকতে হবে। নম্রতা এবং বিনয়ের সঙ্গে মানুষের সেবা করতে হবে।”
দলীয় বিধায়কদের এলাকার মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের সুফল যাতে মানুষ পায়, তা নিশ্চিত করারও পরামর্শ দিয়েছেন মমতা৷ সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস জনগণের দল, জনগণের জন্যই কাজ করবে৷ এটাই আমাদের অঙ্গীকার৷ ভাল থেকো, সুস্থ থেকো৷’
আরও পড়ুন: ‘১ জুন থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা কার্যত অসম্ভব’, জানাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ
শনিবার বিধানসভা অধিবেশনেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “এবার অন্তত ৭০ জন নতুন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। দলের সাধারণ নেতা-কর্মীরা ছাড়াও বিভিন্ন পেশার অনেকে জিতে এসেছেন। সোহম, কাঞ্চন, রাজ, জুন, অদিতিদের মতো সাংস্কৃতিক জগতের পরিচিত বেশ কিছু মুখ রয়েছেন তাঁদের মধ্যে। সকলকেই আমি বলব, বিধানসভা মন দিয়ে করতে হবে। অধিবেশন বা কমিটির বৈঠকে নিয়মিত হাজির থাকতে হবে। অংশ নিতে হবে আলোচনায়, প্রশ্নোত্তরে। বিশেষ করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিলের উপর বক্তব্য রাখতে হবে। একান্তই না আসতে পারলে সেই কারণ আগাম জানাবেন।”
রাজ্যে ভোট পরবর্তী অশান্তি প্রসঙ্গে বিধায়কদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, “এলাকায় গিয়ে শান্তি বজায় রাখার ব্যবস্থা করুন। কোথাও কোনও গোলমাল বা ফেক নিউজ ছড়ানোর খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে থানায় এফ আই আর করুন।”
তৃতীয়বারের জন্য অধ্যক্ষের চেয়ারে বসে বিমানবাবু বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, “এখানে কিছু সদস্য খুব আসেন বা কার্যক্রমে অংশ নেন। এটা ঠিক নয়। মানুষ এখানে তাদের এলাকার সমস্যাগুলি তুলে ধরার জন্য বিধায়কদের নির্বাচিত করে পাঠায়। সেই দায়িত্ব তাঁদের অবশ্য পালন করতে হবে। এই বিধানসভার একটা ঐতিহ্য, গরিমা রয়েছে। তা বজায় রাখতে হবে। নতুন সদস্যদের জন্য একটি প্রশিক্ষণমূলক কোর্স এবার চালু করা হবে।”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.