'কেন ক্ষমা চাইব'
'এটা সত্যি যে আমি ওয়ার রুমে গিয়েছিলাম এবং সেখানের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি কেন ক্ষমা চাইব , যেখানে আমি কোনও সাম্প্রদায়িক মন্তব্যই করিনি?' তেজস্বীর এই বক্তব্যের আগে সামনে আসে তাঁর কিছু বক্তব্য। হাসপাতালের বেড দুর্নীতি নিয়ে বেঙ্গালুরু পুরসভার ওয়ার রুমে ১৭ জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কর্মীর নাম প্রকাশ্যে আনেন এই বিজেপি সাংসদ। ২০৫ জন পুরসভা স্টাফের মধ্যে এই ১৭ জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কর্মীর নামই কেন তিনি তালিকা থেকে পাঠ করেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। জল্পনা বাড়ে সাম্প্রদায়িকতা প্রসঙ্গে।
তেজস্বী স্পষ্ট করছেন অবস্থান
বিজেপি সাংসদ দাবি করেছেন, তিনি কেবলমাত্র প্রশ্ন তুলেছেন যে , কেন এই কর্মীদের নিযুক্ত করা হল? এর বাইরে কোনও সাম্প্রদায়িক বক্তব্যই তিনি তুলে ধরেননি। এই দাবিতে সরব হয়ে তেজস্বী নিজের বক্তব্যে কার্যত অনড়, বিতর্কিত বার্তার পরও।
কী পরিস্থিতি পুরসভার অন্দরে?
প্রসঙ্গত, যে ১৭ জন পুরসভা স্টাফের নাম তেজস্বী সূর্য তুলে ধরেছিলেন , তাঁদের সাংসদের পরিদর্শনের পর কাজ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয় বলে খবর। যদিও এঁদের ১৬ জনকে পুলিশ ক্লিনচিট দেওয়ার পর তাঁদের ফের বহাল করা হয় কাজে।
বেড বুকিং ও স্বচ্ছ্বতা
বেঙ্গালুরু বেড বুকিং কাণ্ডে আপাতত ৭ জন গ্রেফতার হয়েছে। এদের মধ্যে ডক্টর রিহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের তরফে। তেজস্বী সূর্যের দাবি, আপাতত বেড বুকিং নিয়ে স্বচ্ছ্বতা আনতে যাঁর নামে বেড বুকিং হবে, তাঁর কাছে একটি এসএমএস পাঠানোর ব্যবস্থা হয়েছে। সেই এসএমএসই তাঁকে বলে দেবে যে কোনও নির্দিষ্ট হাসপাতালের বেড তাঁর নামে বুকিং রয়েছে। এতে বিষয়টি নিশ্চিত হবে। বুকিংয়ের ১০ ঘণ্টার মধ্যে রোগী ভর্তি না হলে, বেড আনবুক করা হবে। বুকিং ক্ষেত্রে রোগীকে ট্যাগ করার পথে হেঁটে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা চলছে।