নয়া দিল্লিঃ মারণ ভাইরাসের তাণ্ডবে গোটা বিশ্ব যখন উদ্বিগ্ন। তখনই করোনা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় নেপালের সাথে “বিচ্ছেদ রেখা” (Separation Line) তৈরির পথে চিন। যেটি পৃথক করবে দুই দেশেরই আরোহীদের।

এই উদ্দেশ্যে তিব্বতীয় পর্বতারোহণের গাইডের একটি দল পর্বতারোহী শীর্ষে পৌঁছনোর আগে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গটিতে (Mount Everest) পৃথকীকরণ রেখা তৈরি হবে। সোমবার এমনটাই জানাল চিনের জাতীয় সংবাদ সংস্থা সিংহুয়া।

তবে এটি এখনও স্পষ্ট নয় যে লাইনটি কীভাবে তৈরি হবে। চিন থেকে পাহাড়ের উত্তর দিকে আরোহণকারী আরোহীদের দক্ষিণ দিকে অর্থাৎ নেপালের দিকে সম্পূর্ণ যোগাযোগ এড়ানোর জন্য লাইনটি তৈরি করা হবে এবং ওই অঞ্চলে পারাপার হওয়া একেবারেই নিষিদ্ধ করা হবে।

গত বছর করোনা মহামারি দ্বারা সৃষ্ট হুমকির কারণে দুই দেশ চূড়ান্ত মৌসুমও স্থগিত করেছিল। তবে এ বছর নেপাল ৪০৮ জন বিদেশিকে এভারেস্টের শীর্ষে উঠতে অনুমতি দিয়েছে। চিনের (China) পক্ষ থেকেও ২১ জন অভিযাত্রীদের এই অভিযানে যাওয়ার অনুমতিও দেওয়া হয়েছিল।

তবে নেপালে (Nepal) নতুন করে করোনা ভাইরাস মামলায় ঊর্ধ্বমুখী গতি এবং চীনের ক্রমহ্রাসমান মামলার পরিপ্রেক্ষিতে যোগাযোগ রোধে এই বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা চিনের তরফে।

উল্লেখ্য, নেপালের কর্মকর্তারা এভারেস্টে করোনার প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে মন্তব্য করতে রাজি হননি। নরওয়েজিয়ান এক পর্বতারোহী এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে গত মাসে জানিয়েছিলেন যে, তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন সেখানে, তবে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠে তবেই সেখান থেকে ফেরেন তিনি।

অন্যদিকে অ্যাং শেরিং শেরপা নামে একজন পর্বতারোহণ বিশেষজ্ঞ বলেছেন, এভারেস্ট চূড়ায় কোনও ধরণের বিচ্ছেদ তৈরি করা সম্ভব নয়। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার সময় আরোহীরা পোশাক এবং গিয়ারের পুরু স্তর পরতেন এবং তাদের মুখগুলি অক্সিজেন মাস্ক, চশমা দিয়ে ঢাকা থাকত। অর্থাৎ শীতল বাতাস থেকে সুরক্ষা দেওয়ার সব রকম ব্যবস্থায় থাকত সেখানে। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে কেউই চূড়ায় পৌছতে পারবেন না, কারণ এমনিতেই আক্রান্তদের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, আর সেই শ্বাসকষ্ট নিয়ে হিমশীতল আবহাওয়ায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠা এক কোথায় ‘অসম্ভব’।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.