ওয়াশিংটন: বেন্নু গ্রহাণুতে কাজ সেরে এবার পৃথিবীতে ফিরছে নাসার মহাকাশযান ওসিরিস-রেক্স। সোমবার পৃথিবীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে এটি। এই রোবটিক প্রসপেক্টরের পৃথিবীতে আসতে সময় লাগবে ২ বছর।
ওসিরিস রেক্স বেন্নু গ্রহাণুতে পৌঁছেছিল ২০১৮ সালে। সেখানে সেটি ২ বছর কাটায়। সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহও করে। আরিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী দান্তে লরেটা জানিয়েছেন, এই মহাকাশ যানে আধ পাউন্ড থেকে ১ পাউন্ড (২০০ গ্রাম ও ৪০০ গ্রাম) পর্যন্ত বড় পাথর খণ্ড ধরে। তবে এটি তার ক্ষমতা কিছুটা বৃদ্ধি করতে পারে। অতিরিক্ত ২ আউন্স (৬০ গ্রাম) ওজনও বহন করতে সক্ষম এটি। অ্যাপোলো চাঁদ থেকে যে পাথর নিয়ে এসেছিল এটি তারপর সবচেয়ে বড় নমুনা সংগ্রহ। এছাড়া নাসা ধুলো ও বাতাসের নমুনাও সংগ্রহ করেছে। এই প্রথম কোনও গ্রহাণু থেকে এমন নমুনা সংগ্রহ করা হল। যদিও এর আগে জাপান ২ বার গ্রহাণু থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে, কিন্তু তা ছিল খুবই সামান্য। এই প্রথম এতখানি নমুনা সংগ্রহ করা হল।
বেন্নু থেকে নাসার এই মহাকাশ যান অনেক ছবি এবং তথ্যও সংগ্রহ করেছে। ছবিগুলো দুপুরের দিকে তোলা হয়। বেন্নুর পাথুরে জমি যাতে ছায়া ছাড়া স্পষ্ট ভাবে তোলা সম্ভব হয় তাই দুপুরের সময়টিকেই বেছে নেওয়া হয়। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই পর্যবেক্ষণগুলি মূল মিশন পরিকল্পনার মধ্যে ছিল না। তাই তাঁরা ফের তাঁদের কাজটি নথিভুক্ত করতে আগ্রহী। গ্রহাণু থেকে ২০০ মাইল (৩০০ কিলোমিটার) আসার পর সোমবার বিকেলে এটি তার মূল ইঞ্জিন চালু করে। বিজ্ঞানীদের আশা এই নমুনা থেকে গবেষণা আরও অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। বেন্নুর কালো, খসখসে, কার্বন সম্বৃদ্ধ পৃষ্ঠ থেকে যে নমুনা আনা সম্ভব হয়েছে তার উপর ভিত্তি করেই এমন আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। এই গ্রহাণুটি ১ হাজার ৬০০ মিটার চওড়া এবং ৪.৫ বিলিয়ন বছর পুরনো। বেন্নু গ্রহাণুটি সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। কার্বন সমৃদ্ধ গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে ১৮২ মিলিয়ন মাইল (২৯৩ মিলিয়ন কিলোমিটার) দূরে রয়েছে। এর নমুনা পৃথিবীতে এসে পৌঁছনোর পর তা বিশ্লেষণ করে দেখবেন বিজ্ঞানীরা। ওসিরিস রেক্স মহাকাশ যানের ২০২৩ সালে পৃথিবীতে পৌঁছানোর কথা। তারপর সৌরজগতের গ্রহগুলি কীভাবে গঠন হয়েছিল সেই সম্পর্কে আরও তথ্য পাবেন বিজ্ঞানীরা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.