প্রসেনজিৎ চৌধুরী: যতবার ঢাকার ব্যস্ততম মীরপুরের রাজপথ ধরে হেঁটেছি,আকাশের দিকে চোখ পড়তেই দেখেছি যন্ত্র ও মানুষের যুগলবন্দি। আকাশ ও রাস্তার মাঝে বিরাট বিরাট থামের উপর নিথর সাপের মতো পড়ে থাকা রেলপথ। নিচে থিকথিকে ভিড়। উপরে কাজ চলছে।

একেই যানজটের মহানগরী ঢাকা। রিক্সা বাস, নিজস্ব গাড়ির ভিড়ে পথচলতি মানুষের আসা যাওয়া আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকা প্রায় নিত্য ঘটনা।

মঙ্গলবার মহানগরীর উপর দিয়ে চাকা গড়াতেই ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রবেশ করল মেট্রো যুগে।

আর কলকাতা এসে বাংলাদেশবাসীর মেট্রোরেল দেখে হিংসা হওয়া নয়, এবার ঢাকা মেট্রো চড়ার পালা। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ও ঢাকার সংবাদ মাধ্যমের খবর সে দেশে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক মেট্রোরেল চলেছে।

যে রেলপথ তৈরি করতে রাজপথের আয়তন কমেছে , বেড়েছে ভোগান্তি এবার উল্টো গুনতির পালা শুরু। কবে যাত্রী নিয়ে ছুটবে মেট্রো।

মঙ্গলবার ঢাকার উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য চালানো হয়েছে বিদ্যুৎচালিত মেট্রো। আরও ১৮টি পরীক্ষার পর চূড়ান্ত সবুজ সংকেত দেবে কর্তৃপক্ষ।

তবে পরীক্ষামূলক মেট্রোরেলের চাকা গড়াতেই বাংলাদেশবাসী উদ্বেলিত। মে‌ট্রো‌রে‌লের এই পরীক্ষামূলক চলাচলের অনুষ্ঠা‌নে ভার্চুয়া‌লি যোগ দেন সড়ক প‌রিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের মাঝে বাংলাদেশে পদ্মা সেতু ও ঢাকা মেট্রোর কাজ চলেছে। সংক্রমণ রুখতে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত চৌকি বন্ধ।

তবে মেট্রো রেলের কাজ যাতে না আটকায় তাতে বিশেষ নজর ছিল শেখ হাসিনা সরকারের। জাপান থেকে এসেছে মেট্রোরেলের বগি।

খুলনার মোংলা বন্দর থেকে সেসব আনা হয় ঢাকায়। ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য ২৪ সেট ট্রেন তৈরি করছে জাপানের কাওয়াসাকি মিৎসুবিশি। দুটি ইঞ্জিন সহ থাকবে চারটি করে বগি।

২০১৩ সালে অতি জনবহুল ঢাকার যানজট সমস্যা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে মেট্রো রেল স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়। ২০১৬ সালে এই মেট্রো রেলের লাইনের সংখ্যা ৩টি থেকে বাড়িয়ে ৫টি করা হয়।

প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষের পথে। এই পথে ঢাকার উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০.১ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে মেট্রো। সেই মুহূর্তের অপেক্ষায় বাংলাদেশ।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.