ম্যাঞ্চেস্টার: শনিবার চেলসির (Chelsea) কাছে হেরে অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হতেই পেপ গুয়ার্দিওলার (Pep Guardiola) দলের চোখ ছিল পড়শি ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের (Manchester United) ম্যাচগুলোর দিকে। রবিবার অ্যাস্টন ভিলাকে (Aston Villa) ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড পরাজিত করায় সিটির অপেক্ষা আরও বাড়ে। মঙ্গলবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে (Old Trafford) ফের লেস্টার সিটির (Leicester City) মুখোমুখি হয়েছিল ইউনাইটেড। জেমি ভার্ডি’ (Jamie Vardy)দের বিরুদ্ধে লাল ম্যাঞ্চেস্টার হারলে পরবর্তী ম্যাচে মাঠে নামার আগেই খেতাব নিশ্চিত ছিল সিটির। অপেক্ষা আর দীর্ঘায়িত হল না।
এদিন ঘরের মাঠে লেস্টারের কাছে ইউনাইটেড ১-২ গোলে হারতেই ইংলিশ প্রিমিয়র লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। তিন ম্যাচ বাকি থাকতেই পঞ্চমবারের জন্য খেতাব জিতল স্কাই ব্লুজ’রা। চার বছরে এই নিয়ে তিনবার। প্রথমার্ধ ১-১ গোলে শেষ হলেও দ্বিতীয়ার্ধে সেটপিস থেকে ‘ফক্স’দের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন ক্যাগলার সোয়াঞ্চু (Caglar Soyuncu)।
এই জয়ের ফলে আগামী মরশুমে লেস্টারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ (Champions League) খেলার বিষয়টি পাকাপাকি না হলেও কার্যত নিশ্চিত হল বলা চলে। ৩৬ ম্যাচে তাদের সংগ্রহে ৬৬ পয়েন্ট। চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত হওয়া সিটির সংগ্রহে আপাতত ৩৫ ম্যাচে ৮০ পয়েন্ট। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে দ্বিতীয়স্থানে থাকা ম্যান ইউ’য়ের ঝুলিতে ৭০ পয়েন্ট। অর্থাৎ, কোনওভাবেই তাদের পক্ষে সিটিকে আর ধরা সম্ভব নয়। তবে আগামী মরশুমে চ্যাম্পিয়নে লিগে খেলার বিষয়টি ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করে ফেলেছে সোল্কজায়েরের (Ole Gunnar Solskjaer) ছেলেরা।
দলের ছেলেদের ধকল কমাতে এদিন ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে অ্যাস্টন ভিলার বিরুদ্ধে জেতা ম্যাচের একাদশে দশটি পরিবর্তন এনেছিলেন সোল্কজায়ের। ১০ মিনিটে বক্সের মধ্যে ভেসে আসা সেন্টার থেকে কোনাকুনি দুরন্ত ভলিতে লেস্টারকে এগিয়ে দেন টিন-এজ লুক থমাস (Luke Thomas)। যদিও সেই গোল দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ১৫ মিনিটে ব্র্যান্ডন রজার্সের দলকে সেই গোল ফিরিয়ে দেয় ইউনাইটেডের টিন-এজ স্ট্রাইকার ম্যাসন গ্রিনউড (Mason Greenwood)।
বৃষ্টিস্নাত ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচ জিততে রাশফোর্ড (Marcus Rashford), কাভানিদের (Edinson Cavani) মাঠে নামিয়ে দেন সোল্কজায়ের। এই দুই স্ট্রাইকার মাঠে নামতেই গোল হজম করে ইউনাইটেড। ৬৬ মিনিটে কর্নার থেকে দুরন্ত হেডে গোল করে যান সোয়াঞ্চু। পর ব্রুনো ফার্নান্দেজকে (Bruno Fernandes) নামিয়েও সেই গোল আর পরিশোধ করতে পারেনি ম্যান ইউ। ফলে নিজেরা তো ম্যাচ হারেই সেইসঙ্গে সিটির খেতাব জয়ে সিলমোহর দিয়ে দেন কাভানিরা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.