নয়াদিল্লি: আত্মগোপন করে থাকা অলিম্পিকে দু’বারের পদকজয়ী সুশীল কুমারের বিরুদ্ধে ‘লুকআউট’ নোটিশ জারি করল দিল্লি পুলিশ৷ উত্তর পশ্চিম দিল্লির মডেল টাউন এলাকায় ছত্রাসাল স্টেডিয়ামের বাইরে ২৩ বছরের এক কুস্তিগীরকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগে কিংবদন্তি এই কুস্তিগীরের বিরুদ্ধ FIR দায়ের করা হয়েছিল আগেই৷

দিল্লি পুলিশ সোমবার বেজিং ও লন্ডন অলিম্পিকে পদকজয়ী সুশীল কুমারের বিরুদ্ধে লুক-আউট-সার্কুলার (LOC) জরি করে৷ তাঁর বিরুদ্ধে ২৩ বছর বয়সি জুনিয়র জাতীয় চ্যাম্পিয়ন কুস্তিগীরকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে৷ কিংবদন্তি এই কুস্তিগীরের বিরুদ্ধে হত্যা এবং হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে৷ তবে ঘটনার পর পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করলেও সুশীল-সহ অন্যজন ফেরার হয়৷

পুলিশ জানিয়েছিলন, ‘সাগর সকলের সামনেই অভিযুক্ত অলিম্পিক পদকজয়ীকে হুমকি দিয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে পদকজয়ী ক্রীড়াবিদের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু সমস্যা সমাধানের জন্য সাগরকে ফোন করে এক জায়গায় আসতে বলে। সাগর এবং তাঁর দুই বন্ধু সেই স্থানে যেতেই অভিযুক্ত তিনজন তাদের উপর চড়াও হয়৷ মারামারির সময় অভিযুক্তদের একজন সাগরকে সামনে থেকে গুলি করে। তারপর তিনজনই সেখান থেকে পালিয়ে যায়।’

সুশীল-সহ বাকি দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়৷ কিন্তু ঘটনার পর থেকেই দিল্লি ছেড়ে হরিদ্বারের উদেশ্যে রওনা দেয় সুশীল৷ প্রথমে হরিদ্বারের এক আশ্রমে আশ্রয় নিলেও পরে সেখান থেকে ফের দিল্লি ফিরে আসে৷ তারপর হরিয়ানায় বিভিন্ন জায়গা পরিবর্তন করে থাকে৷ এখনও পর্যন্ত পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ না-করায় সোমবার সুশীলের বিরুদ্ধে লুক-আউট নোটিশ জারি করে৷

মঙ্গলবার রাতে সুশীল, অজয়, প্রিন্স, সনু, সাগর, অমিত এবং আরও কয়েকজন কুস্তিগীরের মধ্যে স্টেডিয়ামের পার্কিং এরিয়ায় ঝগড়া ও মারামারি হয়। সেখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত৷ হাতাহাতিতে শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয় সাগর নামে এক তরুণ কুস্তিগীরের। আহত হন আরও ২ কুস্তিগীর। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা প্রত্যেকের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়৷ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উত্তরপূর্ব) গুরিকবাল সিংহ সিধু জানিয়েছিলেন, ‘মৃত কুস্তিগীর হলেন দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবলের পুত্র সাগর কুমার। আহত একজনের নাম সোনু মহল। আমাদের ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে সেখানে ৫টি গাড়ি পাওয়া গিয়েছে। একটি স্করপিও গাড়ির মধ্যে ডাবল ব্যারেল বন্দুক এবং ৫টি কার্তুজ ও দু’টি কাঠের লাঠিও পাওয়া গিয়েছে। সব কিছুই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।’

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.