মুকুল রায়ের প্রস্তাব
এদিন একদিকে যখন রাজভবনে মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণ চলছে, সেই সময় বিজেপির দফতরে চলছে বিরোধী দলনেতা নির্বাচনের কাজ। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে উপস্থিত কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, রবিশঙ্কর প্রসাদ। আর রাজ্য সভাপতি হিসিবে উপস্থিত মুকুল রায়। সেখানে মুকুল রায়ই প্রথম শুভেন্দু অধিকারীর নাম বিরোধী দলনেতা হিসেবে প্রস্তাব করেন।
২২ বিধায়কের সমর্থন
বৈঠকে উপস্থিত ২২ বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে বিরোধী দলনেতা হিসেবে সমর্থন করেন। তাঁরা হলেন, জয়পুরের নরহরি মাহাত, কার্শিয়ং-এর বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা, ভগবামপুরের রবীন্দ্রনাথ মাইতি, হরিণঘাটার অসীম সরকার, হবিবপুরের জুয়েল মুর্মু, কোতুলপুরের হরকালি প্রতিহার, বালুরঘাটের অশোক লাহিড়ী, রানাঘাট উত্তর পশ্চিমের পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়, রানাঘাট উত্তর-পূর্বের অসীম বিশ্বাস, খড়গপুরের হিরণ চট্টোপাধ্যায়, দুর্গাপুর পশ্চিমের লক্ষ্মণ ঘড়ুই, শিলিগুড়ির শঙ্কর ঘোষ, কোচবিহার দক্ষিণের নিখিলরঞ্জন দে, শালতোড়ার চন্দনা বাউড়ি, ভাটপাড়ার পবন সিং, হলদিয়ার তাপসী মণ্ডল, রায়গঞ্জের কৃষ্ণ কল্যাণী, নাটাবাড়ির মিহির গোস্বামী, দুবরাজপুরের অনুপ সাহা, পুরশুড়ার বিমান ঘোষ, কুলটির অজয় পোদ্দার, ওন্দার অমরনাথ শখা।
রবিশঙ্কর প্রসাদের সিলমোহর
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে বৈঠকে হাজির হওয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর নাম প্রস্তাব করেছেন দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়। এরপর দলের ২২ বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর নাম সমর্থন করেন। এরপর বিধায়করা আর কোনও নামের সমর্থনে প্রস্তাব আনেননি। এরপর রবিশঙ্কর প্রসাদ শুভেন্দু অধিকারীর নামে সিলমোহর দেন। তিনিই জানান, শুভেন্দু অধিকারীই বিধানসভায় বিজেপির সর্বসম্মত নেতা নির্বাচিত হয়েছেন।
শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিক্রিয়া
বিধানসভায় নেতা নির্বাচিত হওয়ার পরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা হিসাবে দল তাঁকে মনোনীত করায় তিনি আপ্লুত। তাঁর প্রতি বিশ্বাস রাখার জন্য তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি বলেন, বাংলার জনগণের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার্থে তিনি দায়বদ্ধ।