আক্রান্ত সিপিআই(এম) কর্মীদের দেখতে আক্রান্ত হতে হল ত্রিপুরার বিরোধী দল নেতা এবং পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার। তাঁকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি করা হয় বলেও অভিযোগ।
জানা যায়, গত ৫ মে কার্ল মার্ক্সের জন্মদিবস উপলক্ষে শান্তিবাজারে দীর্ঘ তিন বছর ধরে বন্ধ থাকা পার্টির অফিসের সামনে কার্ল মার্ক্সের ছবিতে মালা দিয়ে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান ওখানকার স্থানীয় পার্টি কর্মী, সমর্থকরা।
সেই দিন রাতে ওই কর্মসুচিতে উপস্থিত থাকা কর্মী সমর্থকদের চিহ্নিত করে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করা হয় বলেও অভিযোগ। শান্তিবাজারের আক্রান্ত কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে সোমবার মানিক সরকারের নেতৃত্বে পার্টির একটি প্রতিনিধি দল সেখানে যান।
ওই দলে ত্রিপুরার রাজ্য সম্পাদক বাদল চৌধুরি, পার্টি নেতা নারায়ণ কর সহ ছিলেন অন্যান্য নেতৃত্ত্ব। পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেলকে জানিয়ে এই কর্মসুচি গ্রহণ করা হয়েছিল পার্টির পক্ষ থেকে। কিন্তু সেখানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছতেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। বাম নেতাদের দেখে শুরু হয় স্লোগান।
এমনকি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে ইট, বোতল ছোঁড়া হয় বলেও অভিযোগ। গাড়ি পর্যন্ত তাঁদের ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। তাতে আক্রান্ত হয় মানিকবাবু আক্রান্ত হয়েছেন বাদল চৌধুরীও। কোনও রকমে সেখান থেকে ফেরেন তাঁরা। এরপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মানিক সরকার।
সেখানে তিনি বলেন, আমার রক্ত, আমার জীবনের বিনিময়েও যদি ত্রিপুরার শান্তি আসে, সুস্থিতি আসে, সম্প্রীতি ফিরে আসে, গণতন্ত্র ফিরে আসে আমি সাধুবাদ জানাবো। কিন্তু এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার। প্রশাসনের মদত ছাড়া এধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না। এমনটাই অভিযোগ করেন তিনি।
একই সঙ্গে ত্রিপুরাতে সাংবাদিকদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা তুলে ধরে প্রবীন এই বাম নেতা বলেন, এভাবে কি এঁরা এঁদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারবে? বিজেপির মধ্যে কমিউনিস্ট ভীতি এমনভাবে ঢুকেছে তার থেকে আত্মরক্ষার জন্য আক্রমণের রাস্তা বেছে নিচ্ছে। বিজেপি বুঝতে পারছে তাদের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। কিন্তু কমিউনিস্টরা রাস্তায় ছিলেন রাস্তায় থাকবেন। হুঁশিয়ারি মানিকবাবুর।
এভাবে আক্রমণ করে আমাদের আটকানো যাবে না, বিজেপিকে চরম আক্রমণ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। অবশ্য
উল্লেখ্য এবারই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার আক্রমণ হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের ওপর। ২০১৮-র ১৭ নভেম্বর সিপাহীজোলার রাস্তারমাথা অঞ্চলে মানিক সরকারের কনভয়ের ওপর আক্রমণ চালানো হয়। অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। এদিনও এই হামলার পিছনে বিজেপিই। এমনটাই অভিযোগ।