কলকাতা২৪x৭: দেশে করোনা মহামারীর সংক্রমণ ক্রমশ বৃদ্ধি ঘটায় যেখানে নাজেহাল হয়ে পড়েছে সকলে, ঠিক সেই সময় সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে গুগল। ভারতের কোভিড-১৯ টিকাকরণ কেন্দ্র এবং নাম নথিভুক্ত করানোর মতো সমস্ত তথ্য যাতে সহজে খুঁজে পেতে পারে মানুষ তার জন্য গুগল তাদের অ্যাপ্লিকেশনে নতুন আপডেট এনেছে। সোমবার গুগলের তরফে জানানো হয়েছে, মানুষের সুবিধার কথা ভেবে এই নতুন আপডেট, যেখানে সহজে টিকাকরণের কেন্দ্রগুলি এবং টিকার জন্য নাম নথিভুক্ত করার মতো সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবে ব্যবহারকারী।

এর পাশাপাশি সংস্থা তাদের ম্যাপের ক্ষেত্রেও আপডেট করতে চলেছে, যেখানে আপডেট করার ফলে মানুষ গুগল ম্যাপের সাহায্যে হাসপাতালের শয্যা এবং অক্সিজেনের সন্ধান করতে পারবে। এছড়াও গুগল এই মহামারীর পরিস্থিতিতে ভারতের বেশকিছু নন প্রফিট যেমন গিভ ইন্ডিয়া, চ্যারিটিস এইড ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়া, গোঞ্জ, এবং ইউনাইটেড ওয়ে অফ মুম্বাই সহ তহবিল সংগ্রহের ক্ষেত্রে সহায়তা করছে।

ভারতে চলমান কোভিড-১৯ লড়াইকে সমর্থন করার জন্য গুগল তার প্ল্যাটফর্মে যে সর্বাধিক বৈশিষ্ট্য আপডেটগুলি সরবরাহ করেছে, সেগুলির সবটা গুগল অনুসন্ধান সম্পর্কিত। ব্যবহারকারীরা যখন গুগল অনুসন্ধানে ভ্যাকসিনগুলি সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবে, তখন তাদের বিভিন্ন তথ্য প্যানেল সরবরাহ করা হবে। এর পাশাপাশি গুগল ভ্যাকসিনের সুরক্ষা, কার্যকারিতা এবং পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আপডেট প্রদর্শিত হবে। ব্যবহারকারীরা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধভুক্ত করতে চাইলে সার্চ জায়ান্টটি সরকারের কোউইন পোর্টালে একটি লিঙ্কও দিয়ে থাকবে।

গুগল সার্চ এবং এবং গুগল ম্যাপ দেশজুড়ে ২৩,০০০ টিকাকরণ কেন্দ্রগুলোর অবস্থান ভাগ করে থাকে। ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া সমস্ত তথ্য ইংরেজি সহ আরও আটটি ভাষায় মিলবে গুগলে। এছাড়াও এই সার্চ জায়েন্ট ভারতের ২,৫০০ টেস্ট সেন্টারের তথ্য ভাগ করে থাকে মহামারী পরিস্থিতিতে ব্যবহারকারীর সুবিধার কারণ হিসেবে।

গুগলের মতো অন্যতম জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং মাধ্যম টুইটার অনুরূপ একটি বৈশিষ্ট্য সরবরাহ করেছে কোভিড মহামারীর পরিস্থিতিতে তাদের ব্যবহারকারীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে। এই মাইক্রোব্লগিং সাইটে ব্যবহারকারীরা অন্যদের দ্বারা ভাগ করা উপযুক্ত কোভিডের টিকাকরণ কেন্দ্রগুলো খুঁজে পেতে সক্ষম হবে। একইভাবে, ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপেও অনেকগুলি গ্রুপ রয়েছে যা লোকদের সংস্থানগুলি যেমন হাসপাতালের শয্যা, অক্সিজেন, প্লাজমা দাতা ইত্যাদি সন্ধানে সহায়তা করে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.