আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলি হলেও এই দেশের তারকাদের পাবে না ফ্র্যাঞ্চাইজিরা

আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলি কবে কোথায় আয়োজন করা যায় সেই পথ খুঁজছে বিসিসিআই। ভারতে যে আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলি আয়োজন করা সম্ভব নয় তা জানিয়ে দিয়েছেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। শ্রীলঙ্কার পাশাপাশি ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকটি কাউন্টি ক্লাব আইপিএল আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যদিও সেই প্রক্রিয়াতেও ধাক্কা খেতে চলেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা।

আইপিএলের জন্য অনেক তারকা ক্রিকেটার যখন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলতে নিমরাজি ছিলেন তা মেনে নিয়েছিল ইংল্যান্ড। যদিও আইপিএলের ম্যাচগুলি যদি পরে কোথাও আয়োজন করা হয় তাহলে ইংল্যান্ডের তারকা ক্রিকেটারদের ছাড়াই তা আয়োজন করতে হবে। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের সেন্ট্রাল কনট্রাক্টে থাকা ক্রিকেটারদের আইপিএল খেলার অনুমতি যে দেওয়া হবে না তা বুঝিয়ে দিয়েছেন ইংল্যান্ড দলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যাসলে জাইলস।

(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)

জাইলস বলেন, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ জানুয়ারিতে চূড়ান্ত হয়েছে। ততক্ষণে সকলকে পুরো আইপিএল খেলার অনুমতি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন থেকে আমরা এফটিপি মেনেই চলব। তাছাড়া আইপিএল কখন, কোথাও হবে তাও আমরা কেউ জানি না। ভারতের বিরুদ্ধে দেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজের পর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ইংল্যান্ড পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সফরে যাবে। তারপর টি ২০ বিশ্বকাপ রয়েছে। সর্বোপরি অ্যাশেজ রয়েছে। জুলাইয়ে হান্ড্রেডেও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার খেলবেন। ফলে ঠাসা ক্রীড়াসূচির কারণে ক্রিকেটারদের ওয়ার্কলোডের ব্যাপারেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।

(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)

জানা গিয়েছে, ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ শেষ হলেই ১৬ সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ড বাংলাদেশ সফরে যাবে। তারপর ১৬ বছর পর পাকিস্তানে যাবে ইংল্যান্ড। টি ২০ বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার আগে ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের কয়েকজন অস্ট্রেলিয়া পৌঁছে যাবেন। অ্যাশেজ খেলে ইংল্যান্ড দলের ক্যারিবিয়ান সফরও হয়েছে। সবমিলিয়ে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের পাওয়া না গেলে আইপিএল হলেও সমস্যায় পড়বে দলগুলি। অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যানকে নিয়ে যেমন সমস্যায় পড়বে কেকেআর, তেমনই সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, দিল্লি ক্যাপিটালস, চেন্নাই সুপার কিংস, রাজস্থান রয়্যালসকেও গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারদের বাইরে রেখেই দল গড়তে হবে।