নয়াদিল্লি: গোটা দেশে সুনামির মত আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। প্রতিনিয়ত চার লক্ষের গন্ডি পার করছে দেশের দৈনিক সংক্রমণ। এই মারণ ভাইরাস থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখতে বলা হচ্ছে। বাইরে গেলে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের তীব্রতা এতটাই মারাত্মক যে বিশেষজ্ঞরা এই ভাইরাসের রাশ টানতে ডাবল মাস্ক (Mask) পরার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু, ডাবল মাস্ক কীভাবে পরবেন? এ নিয়ে এবার নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র।
১. ডাবল মাস্ক পরলে, একটা অবশ্যই সার্জিক্যাল মাস্ক পরতে হবে। সঙ্গে দুই বা ত্রিস্তরীয় কাপড়ের মাস্ক পড়তে হবে।
২. নাক-মুখ ভালোভাবে ঢেকে শক্ত করে মাস্কটি পরতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে মাস্ক পরার পর শ্বাসপ্রশ্বাসে যেন কোনও সমস্যা না হয়।
৩. কাপড়ের হলে মাস্ক নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। কখনই একই ধরনের দুটো মাস্ক পরা যাবে না।
৪. পরপর দু’দিন একই মাস্ক পরা যাবে না।
The Dos and Dont’s while #DoubleMasking…Take a look👇#PIBKochi @COVIDNewsByMIB @PIB_India @KirenRijiju @BSF_India @CRPF_sector @cpmgkerala @crpfindia @GMSRailway pic.twitter.com/hH8nY9Og38
— PIB in KERALA (@PIBTvpm) May 9, 2021
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা যেভাবে রূপ বদলেছে, তাতে মারণ ভাইরাসকে রুখতে জোড়া মাস্ক পরা অত্যন্ত জরুরি। ঠিকমতো মাস্ক পরে বাইরে বেরোলে, করোনা সংক্রমণ অনেকটাই রোখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। জ্যামা ইন্টারনাল মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গিয়েছে , আবদ্ধ জায়গায় সংক্রামিত ব্যক্তির নিঃশ্বাসের সঙ্গে নিঃসৃত সূক্ষ্ম কণা বায়ুবাহিত হয়ে ছ’ফুটেরও বেশি দূর পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে, আর সে ক্ষেত্রে বায়ুবাহিত সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকেই যায়। যা রোখার একমাত্র উপায় মাস্কের আবশ্যিক ব্যবহার।
উল্লেখ্য, সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গোটা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৬৬ হাজার ১৬১ জন। রবিবারে থেকে অনেকটাই কম আক্রান্তের সংখ্যা। রবিবার ৪ লক্ষ ৩ হাজার ৭৩৮ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। রবিবারের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যাও এদিন কিছুটা কমেছে। রবিবার যেখানে ৪ হাজার ৯২ জনের মৃত্যু হয়েছিল সেখানে সোমবারের রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে ৩ হাজার ৭৫৪ জের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে পরপর ২ দিন কমল মৃত্যু সংখ্যা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.