আমরা প্রত্যেকেই সুখে শান্তিতে বাঁচতে চাই। সেই সঙ্গে পরিবারের কোনো অমঙ্গল যাতে না হয় সেটাও আমরা চাই।
পরিবারের মঙ্গলের জন্য বিভিন্ন বিধি আমরা পালন করি যা শাস্ত্রে লেখা রয়েছে। এমন অনেক চিহ্ন রয়েছে যা পুজোর সময় আমরা ব্যবহার করি বা আঁকি।
চিহ্ন গুলোর অর্থ না বুঝে কখনোই সেগুলো ব্যবহার করা উচিত নয়। পাশাপাশি চিহ্নগুলি সঠিকভাবে অংকন করাটাও জানা দরকার। নইলে সংসারের উপরেই বিপদ আসতে পারে।
স্বস্তিক শব্দটি মূলত একটি সংস্কৃত শব্দ। এর অর্থ কল্যাণ।
সূর্যের সঙ্গে এটির যোগ আছে বলে মনে করা হয়। সূর্যদেবকে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে হিন্দুরা মনে করেন।
সেই সূত্রেই স্বস্তিক চিহ্নটিকেও অনেকেই পবিত্র বলে মনে করেন।
তবে শুধুমাত্র হিন্দু নয়, বৌদ্ধ এবং যৌন ধর্মের অনুসরণকারীদের কাছেও এই চিহ্নটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে রয়েছে।
বাড়িতে যেকোনো শুভ অনুষ্ঠানে পুজো হলে এই চিহ্নটি অংকন করার বিশেষ রীতি প্রচলিত রয়েছে। অনেক সময় ঘটের উপরে এই চিহ্ন আঁকা হয়।
আরো পোস্ট- কলার থেকে কলার খোসা বেশি উপকারী…
তবে এর প্রতি টানের সঙ্গে রয়েছে নির্দিষ্ট নিয়ম। সেই নিয়ম মেনে এটি অংকন না করলে সমস্যা হতে পারে আপনার এবং আপনার পরিবারেরই।
এই লক্ষণটি আবার সিদ্ধিদাতা গণেশের প্রতীক বলে অনেকেই মনে করেন। তাই সকলেই ভাবেন যে এই লক্ষণটি এঁকে নিয়ে পুজো করলে হয়তো সংসারের সমৃদ্ধি ও সুখ আসে।
পাশাপাশি কোনো অশুভ শক্তি গৃহে প্রবেশ করতে পারে না। এবার চিহ্নটি আঁকার নিয়মগুলি তাড়াতাড়ি জেনে নিন।
১. বাড়িতে যে স্থানে এই চিহ্নটি রাখতে চান সে স্থানটি স্পষ্ট, সুন্দর এবং পরিষ্কার হওয়া উচিত। তা না হলে ঠিকমত বোঝা যায় না।
২. অস্পষ্টভাবে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকা উচিত নয়। কারণ পুজোর সময় স্পষ্টভাবে চিহ্নটি না আঁকতে পারলে পুজো সম্পন্ন হয় না বলে মনে করা হয়।
৩. স্বস্তিক চিহ্নটি উল্টোদিকে একেবারে রাখবেন না। অনেকে মন্দিরে উল্টো এই চিহ্ন এঁকে দেন। এই চিহ্নটি মন্দির তৈরি করা গেলেও ঘরে একেবারেই রাখবেন না।
ঘরে সর্বদাই সোজাভাবে চিহ্নটি রাখা উচিত।
৪. কুমকুম দিয়ে প্রতিদিন পুজোর সময় এবং অন্যান্য উপাসনার কাজে স্বস্তিক চিহ্ন অঙ্কন করবেন।
৫. কোনো দম্পতি তাদের বৈবাহিক জীবন চলাকালীন কোন সমস্যা দূর করতে চাইলে হলুদ রং দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন অঙ্কন করবেন।
৬. কেউ বাস্তু দোষ কাটাতে চাইলে গৃহে প্রবেশের মূল দ্বারের উপরে এই চিহ্নটি আঁকতে পারেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.