ম্যাঞ্চেস্টার: বিদায়ী মরশুমের শুরুতে ফ্রি-ট্রান্সফারে যখন তিনি ওলে সোল্কজায়েরের স্কোয়াডে দল দিয়েছিলেন, লাল ম্যাঞ্চেস্টারের তাঁর সাফল্য নিয়ে সন্দিহান ছিলেই অনেকেই। কিন্তু ইউনাইটেডে তাঁর অভিষেক মরশুমে কেবল আশ্বস্তই করেননি কাভানি, বেশ কয়েকটি ম্যাচে শেষমুহূর্তে তাঁর গোলেই থ্রিলার জয় তুলে নিয়েছে ম্যান ইউ। তাই ওলে সোল্কজায়ের চেয়েছিলেন অন্তত আরও এক মরশুম ম্যান ইউ’তেই থেকে যাক ঊরুগুয়ে স্ট্রাইকার।

কিন্তু বাধ সাধছিল বোকা জুনিয়র্সের লোভনীয় অফার। আর্জেন্তাইন ক্লাব দু’বছরের জন্য চাইছিল কাভানিকে। কিন্তু সোমবার সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে আরও একবছর লাল ম্যাঞ্চেস্টারেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ঊরুগুয়ে স্ট্রাইকার। এখনও অবধি চলতি মরশুমে সবধরনের প্রতিযোগীতায় ১৫ গোল হয়ে গিয়েছে কাভানির। ভিল্লারিয়ালের বিরুদ্ধে ইউরোপা লিগের ফাইনাল হোক কিংবা ঘরোয়া লিগের বাকি কয়েকটি ম্যাচ। আপফ্রন্টে পিএসজি প্রাক্তনীর দায়িত্ব এখনও শেষ হয়নি। এরইমধ্যে কাভানির সঙ্গে চুক্তি বাড়িয়ে নিয়ে সমর্থকদের স্বস্তি দিল ম্যান ইউ।

উল্লেখ্য, রোমার বিরুদ্ধে ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে সম্প্রতি দু’টি লেগ মিলিয়ে চারবার জালে বল ঢুকিয়েছেন ইউরোপিয়ান ফুটবলের ‘এল ম্যাটাডোর’। প্রিমিয়র লিগে মাত্র ১১টা ম্যাচে সোল্কজায়েরের একাদশে শুরু করার সুযোগ পেলেও ৯টি গোল করে ফেলেছেন কাভানি। ইউনাইটেডের সঙ্গে চুক্তি বাড়িয়ে নিয়ে কাভানি জানিয়েছেন, ‘গোটা মরশুম জুড়ে দলটার প্রতি আমার ভালোবাসা ক্রমেই বেড়েছে। মাঠে তারই প্রতিফলন ঘটছে। সতীর্থদের সঙ্গেও বোঝাপড়া গড়ে উঠেছে ভালোই। যে সকল স্টাফেরা পর্দার আড়ালে থেকে কাজ করে যান তারা প্রতিদিন আমায় মোটিভেট করে গিয়েছেন। আমি জানি একসঙ্গে মিলে আমরা বিশেষ কিছু অর্জন করতে সক্ষম।’

শুরু থেকেই সোল্কজায়েরের তাঁর প্রতি আত্মবিশ্বাস সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন তিনি। এর ফলেই চলতি মরশুমে ক্লাবের হয়ে তাঁর সেরাটা দিতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন ঊরুগুয়ে স্ট্রাইকার। আর কাভানিকে নিয়ে কোচ ওলে বলছেন, ‘কাভানি ক্লাবে যোগ দেওয়ার পর থেকেই আমি বলে আসছিলাম ও দলে অফুরান এনার্জি নিয়ে আসবে। আমায় ও মিথ্যে প্রমাণ করেনি। আমি ওঁর গোলস্কোরিং রেকর্ড সম্পর্কে ভালোমতোই জানতাম। ও এই দলটাকে অনেক কিছু দিয়েছে আর এটাই ওঁর চরিত্র।’

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.