২০১৫ থেকেই শুরু তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিকল্পনা
সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, ১ম ও ২য়-র থেকেও ভয়াবহ হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ! গবেষকদের মতকে সমর্থন করেই উইকেন্ড অস্ট্রেলিয়ানের দাবি, চিনা আধিকারিক ও গবেষকদের লেখা নথিতে স্পষ্ট যে SARS ভাইরাসকে জৈব রাসায়নিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল চিনের! বিবৃতিতে উইকেন্ড অস্ট্রেলিয়ান এই ভাইরাসকে 'ম্যান মেড' বা মানবসৃষ্ট বলেও অভিহিত করেছে। এহেন বিতর্কমূলক বয়ানে স্বভাবতই জলঘোলা শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে।
জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে ঘুঁটি সাজাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া
প্রাপ্ত নথি থেকে স্পষ্ট যে চিন কীভাবে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য ভাইরাসকে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছিল, অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউটের কার্যনির্বাহী পরিচালক পিটার জেনিংসের মত এমনই। পিটারের বক্তব্য, "করোনা ভাইরাসের উৎস খুঁজে বার করার ক্ষেত্রে চিন কেন এতটা অনিচ্ছুক ছিল, তা এই নথি থেকেই স্পষ্ট।" চিন বিরুদ্ধ এহেন নথিকে পিটার 'স্মোকিং গান' আখ্যা দিয়েছেন।
চিনের কার্যকলাপের উপর সন্দিগ্ধ নজর আন্তর্জাতিক মহলের
চিনা গবেষকদের নথি যে একেবারেই নকল নয়, তা জানিয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ রবার্ট পটার। রবার্টের মতে, "প্রাপ্ত নথি একদম আসল। তবে আমি চাই যাতে অন্যান্য আন্তর্জাতিক সাইবার গবেষকরাও এই নথি যাচাই করে দেখেন।" তাঁর মতে, "এটা প্রথমবার নয় যে চিন এহেন গোপন ও মারাত্মক বিষয়ে গবেষণার কাজ চালাচ্ছে।" ইতিপূর্বে জলপথে সামরিক শক্তি সংক্রান্ত সমস্যার পাশাপাশি করোনার সময়ে নানা বিতর্কে জড়িয়েছে জিনপিং প্রশাসন।
তবে কী ৩২.৮ লক্ষ মৃত্যুর দায়ভার চিনের?
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এসএআরএস-সিওভি-২ নামক ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে, যা ক্রমান্বয়ে করোনা মহামারীর জন্ম দেয়। মূলত শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা ঘটিয়ে মানবজাতিকে বিপাকে ফেলে করোনা ভাইরাস। ইতিমধ্যেই সারা বিশ্বে প্রায় ১৫.৭ কোটি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন প্রায় ৩২.৮ লক্ষ বিশ্ববাসী। যদি চিনের নথি সত্যি প্রমাণিত হয়, তবে এই বিশ্বকাঁপানো মহামারীর দায়ভার কী নেবে চিন? সদুত্তর মেলেনি জিনপিং প্রশাসনের তরফে।