দুবাই: স্বপ্নের সরণিতে হাঁটছেন বাবর আজম৷ আইসিসি-র মাসের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হলেন পাকিস্তান অধিনায়ক৷ পুরুষ বিভাগে এপ্রিল মাসে আইসিসি-র সেরা খেলোয়াড়ের সম্মান পেলেন বাবর৷ আর মহিলাদের মধ্যে মাসের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান অ্যাশলে হিলি৷
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন পাক অধিনায়ক৷ প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে তিন ফর্ম্যাটেই তাঁর ব্যাট ঝলসে উঠেছে৷ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ৮২ বলে ৯৪ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন বাবর৷ এর ফলে ১৩ রেটিং পয়েন্ট সংগ্রহ করে আইসিসি ওয়ান ডে ব়্যাংকিংয়ে বিরাট কোহলিকে টপকে এক নম্বরে উঠে আসেন পাকিস্তানি ক্যাপ্টেন৷ এছাড়াও সিরিজের প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে ১০৪ বলে ১০৩ রানের ইনিংস খেলে ২৭৪ রান তাড়া করে দলকে জেতান বাবর৷
ওয়ান ডে সিরিজের পাশাপাশি টি-২০ সিরিজেও দারুণ ফর্মে ছিলেন বাবর৷ প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে ৫৯ বলে ১২২ রানের ইনিংস খেলে পাকিস্তানকে জেতান তিনি৷ এপ্রিলে সাতটি টি-২০ ম্যাচে ৪৩.৫৭ গড়ে ৩০৫ রান করেন৷ এছাড়া তিনটি ওয়ান ডে ম্যাচে ৭৬ গড়ে ২২৮ রান করেন পাক অধিনায়ক৷ এপ্রিল মাসে আইপিএল অনুষ্ঠিত হওয়ায়, ভারত-সহ বিশ্বের সেরা ক্রিকেটাররা কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেননি। আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগালেন বাবর।
জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধেও সিরিজ জেতে বাবর অ্যান্ড কোং৷ সোমবার দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ইনিংস ও ১৪৭ রানে ম্যাচ জিতে নেয় পকিস্তান। ফলে ব্রেন্ডন টেলরদের বিরুদ্ধে ২-০ সিরিজ জিতে নিল ‘মেন ইন গ্রিন’৷ পাকিস্তানের ৫১০ রানের জবাবে মাত্র ১৩২ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবোয়ের প্রথম ইনিংস। ৩৭৪ রানে এগিয়ে থেকে টেলরদের ফলো-অন করায় পাকিস্তান৷ কিন্তু ইনিংসের হার এড়াতে পারেনি জিম্বাবোয়ে৷ দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন বাবর৷
তবে চলতি বছরের শুরু থেকেই বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসি প্রতি মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের ভালো পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসাবে এই অ্যাওয়ার্ডের কথা ঘোষণা করে। প্রথম তিন মাসে ভারতীয়দের মাথায় উঠেছে এই শিরোপা। জানুয়ারি মাসে ঐতিহাসিক প্রথম মাসের সেরা ক্রিকেটার হয়েছিলেন ঋষভ পন্ত৷ ফেব্রুয়ারিতে মাসের সেরা ক্রিকেটার রবিচন্দ্র অশ্বিন এবং মার্চে মাসের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন ভারতীয় দলের ডানহাতি পেসার ভুবনেশ্বর কুমার৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.