সংক্রমণ রুখতে চলতি বছরের প্রথম থেকে দেশে টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সকল বয়সী মানুষ আক্রান্ত হওয়ার জন্য ৪৫ বছরের সঙ্গে ১৮ থেকে ৪৪ বছরের মানুষকেও টিকার আওতায় আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্র সরকারকে। আর সেই অনুযায়ী ১ মে থেকে কেন্দ্র সরকার ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টিকাকরন প্রক্রিয়া শুরু করার কথা ঘোষণা করেছে।
১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সী মানুষদের কোউইন পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করতে হচ্ছে টিকার জন্য। তবে এই পরিস্থিতিতে দেশের একাধিক মানুষ টিকাকরণের জন্য নাম নথিভুক্ত করার কারণে কোউইন পোর্টালে টিকার অ্যাপয়েন্টমেন্টের দ্রুত স্লট খোঁজা এবং সন্ধান করা কঠিন হয়ে পড়ছে। তবে বেশিরভাগ বিকাশকারীগণ পরবর্তী কাছাকাছি টিকারকরণের অ্যাপয়েন্টমেন্ট কখন পাওয়া যায় তা সহজেই সন্ধান করার জন্য, কোউইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে একটি কোভিড টিকা বুক এবং দ্রুত সন্ধান করার কাজ শুরু করা হয়েছে। সম্প্রতি সরকার কোভিডের টিকার তথ্য পাওয়ার জন্য এপিআই পরিবর্তন করেছে। আর এই কারণে এই কঠিন সময়ে টিকাকরণের অ্যাপয়েন্টমেন্ট-এর সমস্ত তথ্য যাতে মানুষের কাছে পৌঁছায় তার জন্য বিকাশকারীরা এটির পরিবর্তন করেছেন।
এই পরিস্থিতিতে চালু হওয়া সাইটগুলি কাছাকাছি থাকা টিকাকরণের নাম নথিভুক্তের জন্য মেল অথবা চ্যাটের মতো অ্যাপ্লিকেশন যেমন টেলিগ্রামে বার্তা প্রেরণ করছে মানুষের সুবিধার কথা মাথায় রেখে। কোউইন পোর্টালে খুব সহজে নাম নথিভুক্ত করা যায় এবং এই পোর্টলে বুকিং সময়ের পরিমাণ হ্রাস করার জন্য বেশকিছু ঝামেলা দূর করা হয়েছে। কোভিডের কারণে চালু হওয়া সাইটগুলো অ্যালার্ট করে কাছাকাছি টিকাকরণের নাম নথিভুক্তের জন্য, যেখানে ব্যবহারকারী কোউইন পোর্টালে গিয়ে নিজের তা করতে পারে। তবে মনে রাখতে এই সমস্ত সাইটগুলো শুধুমাত্র ব্যবহারকারীকে অ্যালার্ট করতে পারে, সেই কারণে সাইট থেকে নাম নথিভুক্ত করা সম্ভব নয়।
বিকাশকারী অমিত আগরওয়াল মহামারী পরিস্থিতিতে মানুষের সুবিধার জন্য তৈরি করেছে একটি ওপেন-সোর্স ভ্যাকসিন ট্র্যাকার। এই ট্র্যাকার ব্যবহারকারীর কাছাকাছি থাকা টিকাকরণের নাম নথিভুক্তের সুযোগ থাকলে ইমেলে একটি সতর্ক বার্তা পেরণ করবে। ট্র্যাকারের সুবিধা গ্রহণ করবার জন্য প্রথমে গুগল শিটে গিয়ে ভ্যাকসিন ট্র্যাকার মেনুতে একটি কপি তৈরি করে তা সক্ষম করতে হবে। এর পরের ধাপে সাইন ইন করিয়ে ভ্যাকসিন অ্যালার্ট নির্বাচন করে নিজের স্থানীয় জায়গার পিন কোড, বয়স প্রদান করে ইমেল অ্যালার্ট তৈরি করলে প্রতিদিন সকলে ৮ টার সময়ে ইমেলে একটি বার্তা প্রেরণ করা হবে। এছাড়া কাছাকাছি কোনও টিকাকরণ কেন্দ্র থাকলে তারও বার্তা মেলে প্রেরণ করা হবে।
ফাইন্ডস্লট.ইন কোভিড অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিংয়ের জন্য দ্রুত নেভিগেট করতে সহায়তা করে। এই সাইটে মানুষ তাদের শহরের নাম, পিনকোড অথবা রাজ্য এবং জেলা উল্লেখ করে সন্ধান করলে কাছাকাছি থাকা টিকাকরণ কেন্দ্র দেখা মেলে। অন্যদিকে আবার আইএসবির প্রাক্তন ছাত্র শ্যাম সুন্দর ও তার বন্ধুরা মিলে getjab.in নামে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছে। এই ওয়েবসাইটে যে কোনও ব্যক্তি টিকাকরণ কেন্দ্রের সন্ধানের জন্য তাদের জেলার বিজ্ঞপ্তি চেয়ে জিজ্ঞেস করলে সাইটে প্রদান করা মেল আইডিতে সতর্কতা প্রেরণ করা হয়ে থাকে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.