মুকুল নয় শুভেন্দুতেই আস্থা রাখল বিজেপি, ঘোষণা বিরোধী দলনেতার নাম, বিধানসভায় সর্বশক্তি দিয়ে লড়াইয়ের প্রস্তুতি

বিজেপির বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত হলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। প্রতিযোগিতায় মুকুল রায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারীকেই সমর্থন জানান অধিকাংশ জয়ী বিধায়ক। তারপরেই সর্বসম্মতভাবে শুভেন্দু অধিকারীকে বিধানসভা বিরোধী দলনেতা হিসেবে নির্বাচিত করেছে বিজেপি। এক প্রকার মুকুলের কূটনীতিতে ভরসা না করে শুভেন্দুর জনপ্রিয়তায় এবার ভরসা রাখল বিজেপি।

কোণঠাসা মুকুল

মুকুল রায় জয়ী হলেও সর্বভারতীয় সহ সভাপতির নেতৃত্বে তেমন আস্থা দেখাতে পারল না বিজেপি। তার মূল কারণ বোধ হয় রাজ্যে বিধানসভা ভোটে বিজেপির খারাপ ফলের নেপথ্যে মুকুলকেই দায়ী করেছে একাংশ। সেকারণেই নাড্ডা রাজ্যে আসার পরেও মুকুলকে কোথাও দেখা যায়নি। এমনকী মমতার শপথের দিন বিজেপি পার্টি অফিসে শপথের দিনে ছিলেন না মুকুল রায়।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু

শেষ পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারীতেই আস্থা রাখল বিজেপি। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীর নামই চূড়ান্ত করল বিজেপি। শুভেন্দর পক্ষে ৭৭ জন সমর্থন জানিয়েছেন। অন্যদিকে মুকুল রায়ও ছিলেন প্রতিযোগী। কিন্তু মুকুলের সমর্থনে মাত্র ২২জন ছিলেন। শেষে সিংহভাগ সমর্থনের পক্ষেই সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি নেতৃত্বে। শুভেন্দু অধিকারীকেই বিরোধী দলনেতা হিসেবে নির্বািচত করা হয়েছে।

মান রেখেছেন শুভেন্দু

নন্দীগ্রামে প্রেস্টিজ ফাইটে শুভেন্দুই মুখ রক্ষা করেছেন বিজেপির। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রে ১ লক্ষের বেশি ভোটে হারিয়ে এক প্রকার চ্যালেঞ্জ জিতে নিয়েছেন তিনি। শুভেন্দুর সেই জয়ের পুরস্কার হিসেবেই তাঁকে বিরোধী দলনেতা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈিতর মহল। যদিও শুভেন্দু অনুগামী হয়ে যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা এবার গো হারা হেরেছেন। এক প্রকার বিজেপির মুখ ডুবিয়েছেন।

এবার টার্গেট দিল্লি, মোদীর মসনদ এবার টলবেই, রাজভবনে শপথ নিয়েই চ্যালেঞ্জ জ্যোতিপ্রিয়র

নন্দীগ্রামে গণনায় কারচুপি

নন্দীগ্রামের প্রেস্টিজ ফাইটে হেরেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। মমতা অভিযোগ করেছেন নন্দীগ্রামো ভোট গণনায় কারচুপি করা হয়েছে। এই নিয়ে কমিশনে পূনর্গণনার দাবি জানিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু সেই দাবি খারিজ করে দেয় কমিশন। নন্দীগ্রামের গণনা নিয়ে আদালতে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।