অর্থের অভাবে দিশাহীন পরিবার, করোনা রোগীর শেষকৃত্য নদীর চরেই

দিন যত গড়াচ্ছে ততই গোটা দেশে আরও ভয়ঙ্কর মাত্রায় সংক্রমণ ছড়াচ্ছে মারণ করোনা। যার জেরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এদিকে অন্যান্য রাজ্যের মত মৃত্যুমিছিল জারি বিহারেও। সেখানেও প্রত্যহ শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর মিলছে। এবার তারই মাঝে উঠে এল করোনা রোগীর শেষকৃত্যের ভয়াবহ চিত্র। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বিহারের কাথিহার জেলার সৌরা নদীর চড়েই জমা করা হচ্ছে করোনায় মৃতদের দেহ। গত ৭ মে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে।

এমনকী কাথিহার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উদয়ন মিশ্র ভাইরাল ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, মূলত আর্থিক জোর না থাকার কারণেই শ্মশানে সৎকারের বদলে নদী চড়ে শেষকৃত্য সারতে বাধ্য হয় মৃতের পরিবার। এদিকে পেশায় দিন মজুর ওই করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি গত ৬ মে জেলা সদর হাসপাতালে মারা যান। তারপরেই তার দেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে দেহ ভেড়িয়া রহিকা গ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যদিও সেই সময় গ্রামের অনেক বাসিন্দাই তা ভিডিও রেকর্ড করে রাখেন বলে জানা যায়। এমনকী সংক্রমণের ভয়ে অনেকেই ওই মৃত ব্যক্তিকে গ্রামের শ্মশানে দাহ করতে নিষেধও করেন।

বাড়ছে উদ্যোগ, করোনা মোকাবিলায় এবার বড়সড় পদক্ষেপ বেলুড় মঠের

এরপরেই ওই মৃত ব্যক্তির ভাই নদীক চড়ে প্রায় ৬ ফুট লম্বা গর্ত খুঁড়ে দাদার দেহ কবর দিয়ে দেন বলে খবর। তাকে সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছে অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার বিষ্ণু ঝা ও হাসপাতালের কিছু কর্মচারীর বিরুদ্ধে। সেই সময়েই কেউ লুকিয়ে সেই ভিডিও তোলেন। পরে তা ভাইরালও হয়ে যায়। এদিকে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের স্বার্থে ইতিমধ্যেই এসডিও ও এসডিপিও-দের নিয়ে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যার রবিবার ভেড়িয়া রহিকা গ্রাম ঘুরে দেখে এসেছেন বলেও জানা যাচ্ছে। তবে জেলাশাসক অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার ও হাসপাতালের কর্মীদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও অস্বীকার করেছেন।