জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে গেলে ভালোভাবে পড়াশুনো করা এক অন্যতম পথ। তাই গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পর অনেকই নিজের কেরিয়ার সঠিক ভাবে গড়ে তোলার লক্ষে স্নাতকোত্তর করেন। অনেকই গ্র্যাজুয়েশনের পরে MBA কে বেছে নেন নিজের আগামী দিনের গন্তব্য হিসেবে। কারণ এমবিএ কলা, বাণিজ্য, বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং যে কোনো বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা করতে পারেন। শুধু এই ক্ষেত্রে ক্যাট, ম্যাট, জ্যাট ইত্যাদি বেশ কিছু প্রবেশিকা পরীক্ষায় যথাযথ ভাবে পাশ করতে হয় তবেই মেলে এমবিএ করার সুযোগ। ২ বছরের এই কোর্স করার পর যেমন চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক লাভ হয় তেমনই আরও কিছু সুফল আছে। আসুন সেগুলো বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
১. উচ্চ বেতন: এমবিএ ডিগ্রি শুধুমাত্র ভালো চাকরির সুযোগ দেয় না, এমবিএ করা থাকলে ভালো বেতনের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেড়ে যায়। ম্যানেজার সংক্রান্ত পদে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা মেলে যা কেরিয়ারকে সঠিক পথে নিয়ে যায়।
২. নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি: এমবিএর ছাত্ররা কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডে নিজের যোগযোগ বৃদ্ধি করার অনেক সুযোগ পান। যে সব বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে এমবিএ পড়ানো হয় সেখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছাত্ররা অভিজ্ঞ পেশাদার ও নাম করা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপচারিতার সুযোগ পান। যা তাদের কেরিয়ার গ্রোথের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে।
৩. ম্যানেজমেন্ট দক্ষতার উন্নয়ন: এমবিএ ছাত্রছাত্রীদের বা পেশাদার দের বিজনেস ওয়ার্ল্ডের বিভিন্ন পরিকল্পনা বদল সম্পর্কে ট্রেনিং দেয়। ইন্ডাস্ট্রি, মার্কেট ইত্যাদির উন্নতি সাধন কি ভাবে সম্ভব সেই দক্ষতা বৃদ্ধি করে । এর ফলে ম্যানেজমেন্ট স্কিল বৃদ্ধি পায়।
৪. ব্যবসায়িক দক্ষতা বৃদ্ধি করে: এমবিএ ব্যবসায়িক দক্ষতা বৃদ্ধি করে। এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করে অনেকেই চাকরির দিয়ে না গিয়ে ব্যবসার মাধ্যমে নিজের পেশাপ্রবেশ করেন। এমবিএ কোর্স সবরকম ভাবে নিজের ব্যবসা শুরু করা ও সেটা চালানোর বিষয়ে যাবতীয় ও প্রয়োজনীয় জ্ঞান ছাত্রদের মধ্যে সঞ্চারিত করে। কি ভাবে মার্কেট ম্যানেজ করতে হয়, নিজেদের ব্যবসার মূলধন বৃদ্ধি করতে সেই ব্যাপার শেখায় এমবিএ।
৫. কমিউনিকেশন স্কিল বৃদ্ধি করে: ঠিক করে কথা বলতে জানার অনেক ইতিবাচক দিক আছে। পেশার পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত জীবনেও সেটা কাজে লাগে। এর মাধ্যমে নিজের চিন্তাভাবনা অন্যদের সাথে ভাগ করে নেওয়া, অন্যদের মাধ্যমে নিজের যোগাযোগ তৈরী করা ইত্যাদি বিষয়ে সাহায্য করে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.