করোনা মহামারীর পরিস্থিতিতে মাস্ক পরা এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু করা হলেও করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য এখনও আমাদের প্রধান অস্ত্র মাস্ক এবং স্যানিটাইজার। হ্যান্ড স্যানিটাইজারগুলি কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক পদক্ষেপের জন্য আমাদের জীবনে একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে।

কোভিড সংক্রমণ মূলত সংস্পর্শে আসার ফলে ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানে হাত শুদ্ধির মতো বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই মহামারী পরিস্থিতিতে। তবে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে আমাদের মধ্যে কি কোনো ক্ষতি দেখা দিতে পারে? স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পর খাবার খেলে পেটের কি কোন সমস্যা হতে পারে? এই বিষয়ে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (হু) হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করার সময় বেশ কিছু টিপস এর কথা উল্লেখ করেছে, যা থেকে এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর মিলবে।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন পরামর্শ দিচ্ছে, হাতে মূলত পামফুল স্যানিটাইজার ব্যবহার করা উচিত। হাতে দেওয়া স্যানিটাইজার না শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত সঠিক কৌশলে তা দুই হাতের দ্বারা ঘষতে হবে বলে জানিয়েছে হু। এর পাশাপাশি ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত এই পদ্ধতিতে হাত সানিটাইজ করতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

স্যানিটাইজার একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অ্যালকোহল থাকার কারণে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে এটি আমাদের ত্বকের পক্ষে ক্ষতিকর কিনা। তবে হু তাদের ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করে জানিয়েছে, স্যানিটাইজারে থাকা অ্যালকোহল স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা তৈরি করে এমন কোন সংবাদ এখনো মেলেনি। পাশাপাশি অল্প পরিমাণে অ্যালকোহল ত্বকে শোষিত হয় এবং বেশিরভাগ পণ্যগুলির মধ্যে ত্বকের শুষ্কতা হ্রাস করার জন্য ইমপ্ল্যান্ট থাকে।

করোনা মহামারীর এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা বারবার সাবান জল দিয়ে হাত ধোয়ার কথা জানিয়েছে। বাইরে থেকে এলে প্রথমে হাত ভালো করে ধুয়ে ঘরে প্রবেশ করা উচিত। তবে এই ক্ষেত্রে সাবান জলে হাত ধোয়ার থেকে স্যানিটাইজার ব্যবহার অনেক নিরাপদ, তার কারণ অ্যালকোহল স্যানিটাইজার অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ তৈরি করে না।

অনেকেই এই করোনা মহামারীর সময় হাতে গ্লাভস পরে। তবে হু দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গ্লাভসের এক দিক থেকে অন্য দিকে জীবাণু স্থানান্তর বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। গ্লাভস খোলার সময় সেই সমস্ত সমস্ত জীবাণু হাতে প্রবেশ করতে পারে। হাতের গ্লাভস অপসারণ করার পর অবশ্যই হাতটি স্যানিটাইজ করা প্রয়োজন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.