নয়াদিল্লি: অর্থবর্ষ ২০২০-২১ সালে মোট ১০ সরকারি ব্যাঙ্কের ২,১১৮টি শাখা বন্ধ হয়েছে ৷ এমনই ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে এল। সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে কিংবা চিরন্তন ভাবেই এই ব্যাঙ্কের শাখাগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের নিমচ-ভিত্তিক সমাজসেবী চন্দ্রশেখর গৌড়ের দায়ের করা একটি আরটিআইয়ের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।

চন্দ্রশেখর গৌড়ের প্রশ্নের উত্তরে আরটিআইয় জনিয়েছে, অর্থবর্ষ ২০২০-২১ সংযুক্তিকরণের ফলে ব্যাঙ্ক অফ বরোদার (Bank of Baroda) ১,২৮৩ শাখা বন্ধ হয়েছে। গত অর্থবছরে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Bank of India) এবং ইউকো ব্যাংকের (UCO bank) কোনও শাখা বন্ধ হয়নি। সরকার গত অর্থবছরে চারটি সরকারি ব্যাঙ্ককে একীকরণ করে জাতীয় ব্যাঙ্কের সূচনা করেছে। বর্তমানে জাতীয় ব্যাঙ্কের সংখ্যা ১২টি।

জানা গিয়েছে, সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়ার জন্যই স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (SBI) ৩৩২ টি, পঞ্জাব ন্যাশন্যাল ব্যাঙ্কের ১৬৯ টি (Punjab National Bank or PNB), ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (Union Bank of India) ১২৪ টি, কানাড়া ব্যাঙ্কের (Canara Bank) ১০৭টি , ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্কের (Indian Oversease Bank) ৫৩টি , সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (Central Bank of India) ৪৩ টি , ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের (Indian Bank) পাঁচ ও ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র (Bank of Maharashtra) ও পঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ড ব্যাঙ্কের একটি করে শাখা বন্ধ হয়েছে ৷

অল ইন্ডিয়া ব্যাংক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সিএইচ ভেঙ্কটচালাম বলেছেন, সরকারি ব্যাঙ্কের সংখ্যা কমে যাওয়াটা ব্যাঙ্কিং ইন্ডাস্ট্রি তথা দেশের অর্থনীতির পরিপন্থী। তিনি বলেন, দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বার্থে ব্যাঙ্কের শাখা বাড়ানোর দরকার ছিল। সেখানে প্রচুর সংখ্যায় ব্যাঙ্কের শাখা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ব্যাঙ্কের শাখার সংখ্যা কমে গেলে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে যাবে। এমনিতেই দেশে প্রতি বছর হাজার হাজার ছেলে মেয়ে পাশ করে বের হচ্ছে। ফলে দেশের যুব সমাজ হতাশায় ভুগবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল ব্যাঙ্ক অফ বরোদা-র (Bank of Baroda) সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে দেনা ব্যাঙ্ক (Dena Bank) এবং বিজয়া ব্যাঙ্ক (Vijaya Bank)। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক-এর (Punjab National Bank) সঙ্গে ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অফ কমার্স (Oriental Bank of Commerce) এবং ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (United Bank of India) মিশে গিয়েছে। ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া-র (Union Bank of India) সঙ্গে মিশে গিয়েছে ঐতিহ্যবাহী অন্ধ্র ব্যাঙ্ক (Andhra Bank) এবং কর্পোরেশন ব্যাঙ্ক (Corporation Bank)।ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক-এর (Indian Bank) সঙ্গে সংযুক্তিকরণের ফলশ্রুতিতে স্বতন্ত্র অস্তিত্ব বহু আগেই খুইয়েছে দেড়শো বছরেরও বেশি পুরনো এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক (Allahabad Bank)।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.