আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একটি মেয়েদের স্কুলের পাশে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫০। রবিবার ওই দেশের আভ্যন্তরীণ মন্ত্রক জানিয়েছে যে অধিকাংশের বয়স ১১ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। শনিবারের বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হয়েছে একশোরও বেশি জন, দাবি করেছেন মন্ত্রকের মুখপাত্র তারিক আরিয়ান।
মুখপাত্র জানিয়েছেন, স্কুলের বাইরে পরপর তিনটে বিস্ফোরণ হওয়ায় পড়ুয়ারা স্কুল চত্ত্বরেই আটকে পড়েছিলেন। সেই সময় স্কুল ছুটি হচ্ছিল। শিয়া অধ্যুষিত এলাকায় অবস্থিত সৈয়দ আল-শাহদা স্কুলের পাশে এই হামলা হয়েছে। আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি এই ঘটনার নিন্দা করেছেন, এবং এর পিছনে তালিবানদের ভূমিকা আছে বলে দাবি করেছেন। যদিও তালিবান এই হামলার দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে এবং ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছে। আরিয়ান জানিয়েছেন, প্রথম বিস্ফোরণ হয় একটি গাড়িতে, তাতে বিস্ফোরক ভর্তি ছিল, এরপরই পরপর ২টো বিস্ফোরণ হয়। মুখপাত্র জানিয়েছেন যে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
অবিরত বিস্ফোরণে জর্জরিত কাবুলে শনিবারের বিস্ফোরণটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং নাটো আফগানিস্তান থেকে চূড়ান্ত সামরিক প্রত্যাহার শেষ করার কারণে সুরক্ষার অভাব এবং আরও বেশি হিংস্রতার ক্রমবর্ধমান ভয় নিয়ে সমালোচনা আরও বেড়েছে। এই বিস্ফোরণের লক্ষ্য ছিল আফগানিস্তানের চিরাচরিত হাজারাদের নিশানা করে, যাঁরা প্রতিবেশী পশ্চিম দস্ত–ই–বারচি নিজেদের দখলে রেখেছে, এখানেই বিস্ফোরণ হয়। অধিকাংশ হাজারাই শিয়া মুসলিম। শিয়া অধ্যুষিত এলাকার স্কুল সৈয়দ আল-শাহদাতে বিস্ফোরণের পিছনে ইসলামিক স্টেট-এর হাত রয়েছে। তবে কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি।