নয়াদিল্লি: করোনা সংকটে অক্সিজেন সহ করোনায় প্রয়োজনীয় নানা জীবনদায়ী ওষুধ ও সরঞ্জামের উপর থেকে কর উঠিয়ে নেওয়ার দাবি তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই চিঠির জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ১৬টি ট্যুইট করে সেই চিঠির পাল্টা জবাব দিলেন তিনি। নির্মলা সীতারামনের দাবি, যেসব চিকিৎসা সরঞ্জামের উপর কর ছাড় চেয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেসব ক্ষেত্রে আগে থেকেই ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। একইসঙ্গে জিএসটি ছাড়ের দাবি উড়িয়ে দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, এতে সাধারণ মানুষের স্বস্তি পাবেনা। বরং হিতে বিপরীত অবস্থা হবে।
এদিন ট্যুইট করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, যদি জিএসটি সম্পূর্ণ তুলে নেওয়া হয়, তাহলে করের পরিবর্তন হবে। যার ফলে নির্মাতারা বাধ্য হবে ক্রেতার কাছে আরও বেশি দামে ভ্যাকসিন বা ওষুধ বিক্রি করতে। তিনি এটাও জানিয়েছেন, আগেই করোনার ওষুধের উপর থেকে শুল্ক তুলে নেওয়া হয়েছে। জিএসটির হিসেব দিয়ে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, কোনো পণ্যের উপর ১০০ টাকা জিএসটি নিলে ৭০ টাকারও বেশি পায় রাজ্য। ট্যুইট করে জিএসটি থেকে বাদ পড়া ২৩টি পণ্যের তালিকা দেখিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। যেখানে রেমডেসিভির থেকে শুরু করে চিকিৎসার অক্সিজেন ও অন্যান্য মেডিক্যাল সরঞ্জামের নাম উল্লেখ আছে।
1/ Hon. CM of West Bengal @MamataOfficial has written to the Hon @PMOIndia seeking exemption from GST/Customs duty and other duties and taxes on some items and COVID related drugs.
My response is given in the following 15 tweets.@ANI @PIB_India @PIBKolkata pic.twitter.com/YmcZVuL7XO
— Nirmala Sitharaman (@nsitharaman) May 9, 2021
প্রসঙ্গত, রবিবার সকালে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে মোদীকে পাঠানো চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘গোটা দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজ্যেও বাড়ছে সংক্রমণ । আমরা সকলেই এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় নিজেদের মতো লড়ছি । ওষুধ এবং চিকিৎসা সামগ্রীর সরবরাহ যাতে বজায় থাকে তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উৎসকে কাজে লাগানো হচ্ছে করোনার চিকিৎসায় ওষুধ এবং চিকিৎসা–সামগ্রী থেকে জিএসটি প্রত্যাহার করা হলে এই আকালের সময় খানিক স্বস্তি পাবে সাধারণ মানুষ।’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.