তৃণমূলে রাজীবের ঘরওয়াপসি নিয়ে জল্পনা
সম্প্রতি তিনি বলেছেন, যতদিন বেঁচে থাকবেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা অটুট থাকবে। তিনি ক্ষোভে-দুঃখে-অভিমানে মমতার ছবি বুকে নিয়ে দল ছেড়েছিলেন। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে আক্রমণ করার আগে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানাননি। এই অবস্থায় তাঁর তৃণমূলে ঘরওয়াপসি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে ২০১৯-এর পর
২০১১ সালে নির্বাচনে জয়যুক্ত হওয়ার পর তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ সেচ দফতর দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর ২০১৬ সালের নির্বাচনে তিনি ফার্স্ট বয় হয়েছিলেন। সবথেকে বেশি মার্জিনে জয় পেয়ছিলেন। কিন্তু ২০২১-এর আগে তিনি হঠাৎ করেই তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেন। শেষমেশ দল ছেড়ে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন।
ফার্স্টবয় এবার কোয়ালিফাই করতেই পারেননি
কিন্তু বিজেপিতে গিয়ে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ভেবেছিলেন ডোমজুড় কেন্দ্রে সবাই তাঁকে দেখেই ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু তা যে সত্যি নয়, তার প্রমাণ একুশের নির্বাচনী ফলাফল। রাজীবের মতো প্রার্থী প্রায় ৪২ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছেন। গতবারের ফার্স্টবয় এবার কোয়ালিফাই করতেই পারেননি।
কতিপয় দলবদলু নেতা জয়লাভ করলেও বাকিরা পরাজিত
শুভেন্দুর অধিকারীর মতো নেতা এতদিন পূর্ব মেদিনীপুরে রাজ চালিয়ে প্রায় হেরে বসেছিলেন, তাই রাজীবরা যে পারবেন না তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, সেটাই স্বাভাবিক ছিল বলে রাজ্য রাজনীতির বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া মুকুল-শুভেন্দু-মিহির-নিশীথদের মতো কতিপয় নেতা জয়লাভ করেছেন এবার। বাকিরা সবাই পরাজিত।
প্রত্যাবর্তনে কি আগের সেই ইমেজ ফিরে পাবেন রাজীব?
এই অবস্থায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলে পিরতে চাইছেন বলে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। গুঞ্জন উঠেছে, বিজেপিতে মানিয়ে নিতে পারছেন না রাজীব। তাই তিনি ফিরতে চান পুরনো দলে। এখন প্রশ্ন, রাজীব চাইলেই কি তাঁকে ফেরাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ফিরলেও কি আগের সেই ইমেজ ফিরে পাবেন? প্রশ্ন কিন্তু রয়েই যায়।
মমতার স্বাগত-বাণীই ভরসা দলবদলু নেতাদের
রাজীব তাঁর মতো যাঁরা ফিরতে চাইছেন, তাঁদের কাছে আশার আলো সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বার্তা। একুশের ভোটে বিপুল জয়ের পর তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দবলবদলু নেতাদের স্বাগত জানিয়েছিলেন তৃণমূলে। মমতা বলেছিলেন, আসুক না, কে বারণ করছে। এলে স্বাগত জানানো হবে। এরপরই মুকুল রায়কে নিয়ে প্রথমে, তারপরে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়।