কোথায় কেন বিপর্যয়, খতিয়ে দেখেই ব্যবস্থা
তৃণমূলে থেকেও যাঁরা বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। ১৬টি বিধানসভার মধ্যে ৯টিতে তৃণমূল জিতেছে, ৭টিতে হেরেছে। জয় ও পরাজয়ের সমস্ত আসনেই কোথায় কেন বিপর্যয় হয়েছে, তা সরেজমিনে তদন্ত করে দেখছে তৃণমূল। সেইমতোই ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বর্তমান জেলা নেতৃত্ব।
শুভেন্দু-বিরোধীদের হাতেই এখন তৃণমূলের রাশ
এতদিন জেলা নেতৃত্ব সামলানো হত শান্তিকুঞ্জ থেকে। জেলায় অধিকারীদের দাপট ছিল বরাবর। অধিকারী বিরোধী গোষ্ঠীর সে অর্থে কোনও ভূমিকা ছিল না জেলায়। এবার অধিকারীরা শিবির বদল করায় শুভেন্দু-বিরোধীদের হাতেই উঠেছে দলের রাশ। সৌমেন মহাপাত্র, অখিল গিরিরা এবার তাঁদের মতো করেই দল সাজাচ্ছেন।
দাদার অনুগামীদের অন্তর্ঘাতের ফলেই হার, রিপোর্ট
তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের মতে দাদার অনুগামীদের অন্তর্ঘাতের ফলেই কয়েকটি বিধানসভায় হারতে হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে আমরা দাদার অনুগামীদের দাপট উপেক্ষা করেই জয়যুক্ত হয়েছি। এবার তাই দাদার অনুগামীমুক্ত তৃণমূল গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন সৌমেন মহাপাত্র ও অখিল গিরিরা।
দাদার অনুগামী মুক্ত তৃণমূল গড়তে প্রয়াস
এতদিন জেলায় শুভেন্দু অধিকারীই ছিলেন তৃণমূলের বস। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কোনও মাথা ঘামাতেন না। এবার শুভেন্দুর পদত্যাগের পর পূর্ব মেদিনীপুর নিয়ে আলাদা করে ভাবছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলে যাতে দাদার অনুগামীরা কোনও প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সেই ব্যবস্থাই করছে দল।
দাদার অনুগামীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা
সম্প্রতি জেলা কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে খেজুরির প্রাক্তন বিধায়ক রঞ্জিত মণ্ডল ও জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ আনন্দময় অধিকারীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, আরও দাদার অনুগামীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। হেরে যাওয়া সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে পৃথক পৃথক পর্যালোচনা চলছে। রিপোর্ট পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।