কলকাতা : দেশের করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি ও বিপর্যয়ের দায় নরেন্দ্র মোদী সরকারের। করোনার দ্বিতীয় ঢেউকে রোখার ক্ষেত্রে সদর্থক ভূমিকা না নিয়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও রাজনৈতিক সমাবেশকে মদত দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তাই আগামী পয়লা আগস্টের মধ্যে ভারতে করোনা সংক্রমণে ১০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হলে সেই দায় নরেন্দ্র মোদীর সরকারের ওপর বর্তাবে। দেশে করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থ মোদী সরকার। বিশ্ব বিখ্যাত মেডিক্যাল জার্নাল The Lancet তাদের সম্পাদকীয়তে কঠোর ভাষায় ভারতের করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ বৃদ্ধি ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যার্থতা নিয়ে এই কথা লিখেছে। এই জার্নাল লিখেছে, পয়লা আগস্টের মধ্যে ভারতে আনুমানিক ১০ লক্ষ মানুষের করোনা সংক্রমণে মৃত্যু ঘটবে। তার দায় নরেন্দ্র মোদী সরকারের। করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণকে সুপার স্প্রেডের বলে ঘোষণা করার পরও তাকে গ্রাহ্য করেননি মোদী সরকার । এই সময় উল্টে করোনার তীব্রতা নিয়ে বিরোধীদের বিভিন্ন ট্যুইট মুছতে তিনি ব্যস্ত ছিল মোদী সরকার । তাঁর সরকারের গুরুত্ব ছিল ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সমাবেশের দিকে। দেশের করোনা সংক্রমিন রুখতে ব্যর্থ মোদী সরকার।
বিশ্বখ্যাত The Lancet মেডিক্যাল জার্নাল লিখেছে, “ভারতের সরকারি আধিকারিকরা দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে বলে অকাল ঘোষণা করে দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেছিলেন, “দেশ বিপদ মুক্ত”, সেই মন্তব্যের সমালোচনাও করা হয়েছে এই মেডিক্যাকল জার্নালে। ওই সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, কোনও রকম আগাম ব্যবস্থা না নিয়েই দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো এসব ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মেডিক্যাল জার্নালের সম্পাদকীয় লিখেছে, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ যখন ভারতে থাবা বসিয়েছে, তখন ভারত সরকার বলেছে দেশে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে। আসলে এটা করা হয়েছে নিজেদের জাহির করার জন্য। কেননা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বলেছে জানুয়ারিতে ভারতের মাত্র ২১% মানুষের মধ্যে সার্স-কভিড-১৯-এর এন্টিবডি তৈরি হয়েছে। এর পাশাপাশি তারা লিখেছে, দেশে যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রবল ভাবে দেশের মানুষদের সংক্রমিত করছে তখন কেন্দ্রীয় সরকারি সিদ্ধান্ত দেশে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক জমায়েতে সুস্পষ্ট ইন্ধন দিয়েছে। কাজেই ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ফলে আজ যে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে, সেই দায় পুরোপুরি নরেন্দ্র মোদীর, এটা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে The Lancet মেডিক্যাল জার্নালে ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.