করোনায় কেড়েছে মাত্র ১ জনের প্রাণ, সংক্রমণও নিয়ন্ত্রণে
২০২০-তে যখন কোভিড সংক্রমণ শুরু হচ্ছে বিশ্বব্যাপী, তখনই ঘটে এই মৃত্যু। তারপর থেকে করোনার বিশ্ব মহামারী ঘটে গিয়েছে। কিন্তু ভুটানে করোনা আক্রান্ত হয়ে এক জনেরও মৃত্যু হয়নি। দৈনিক সংক্রমণও নিয়ন্ত্রণেই আছে। ভারতে যখন দৈনিক সংক্রমণ ৪ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে, তখন ভুটানে দৈনিক আক্রান্ত মাত্র ১১।
ভুটানের মতোই যাঁরা রেখেথে করোনায় নিয়ন্ত্রণ
করোনায় মৃত্যুতে বিরল কৃতিত্ব গড়েছে ভুটান। তবে ভুটানের মতো পৃথিবীর একাধিক দেশ কিন্তু করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে। ভুটান ছাড়াও ভিয়েতনাম, রাওয়ান্ডা, সেনেগালে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ অনেক নিয়ন্ত্রণে। করোনার সংক্রমণ এই সমস্ত দেশ কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমর্থ হল, তা শিক্ষণীয়।
জনস্বাস্থ্যে বিশেষ জোর দেওয়ায় করোনা পালিয়েছে
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জনস্বাস্থ্যে বিশেষ জোর দেওয়ার কারণেই করোনা তেমন থাবা বসাতে পারেনি ভুটান-ভিয়েতনামের মতো দেশে। ভুটান ছোট দেশ। সেখানে রয়েছে মাত্র ৩৩৭ জন চিকিৎসক, তিন হাজার স্বাস্থ্যকর্মী। তাও তাঁরা করোনাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমর্থ হয়েছে নির্দিষ্ট পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে।
কোন জাদুবলে করোনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হল
চিনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার ১৫ দিনের মধ্যেই ভুটান করোনা পরীক্ষায় জোর দেয়। চিনেরও প্রতিবেশী দেশ ভুটান। তাই অতি সাবধানী হয়েই যে পরীক্ষা আরম্ভ হয়েছিল, তার ফলে ৬ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে ভুটানে। এরপর ৬ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর সংস্পর্শে আসা প্রায় ৩০০ জনকে চিহ্নিত করে পরীক্ষা শুরু হয়। সবাইকে পাঠানো হয় কোয়ারেন্টাইনে। এইভাবেই কড়া অনুশাসনে রুখে দেওয়া হয় সংক্রমণ।
সংক্রমণ রুখতে কড়া প্রশাসনিক দাওয়াই
এখানেই শেষ নয়, সমস্ত পাবলিক প্লেসে মাস্ক পরা ও স্যানিটাইজ রীতি বাধ্যতামূলক করা হয়। বিদেশ থেকে আগতদের কোয়ারেন্টাইনে রেখে সরকারি পয়সায় থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়। উপসর্গ দেখা দিলেই চটজলদি ব্যবস্থা। ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নিয়ম লাগু করা হয়। প্রশাসন প্রথম থেকেই কড়া হাতে নেওয়ায়. এ দেশে কোনও মহামারী ঘটেনি।