ফের বাংলায় নির্বাচনী দামামা একুশের যুদ্ধে শেষ হতে না হতেই, এবার ক’টি কেন্দ্রে ভোট

একুশের বিধানসভা নির্বাচন শেষে ফের তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলায়। এরই মধ্যে ফের ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে, বেশ কিছু কেন্দ্রেই আবার ভোট হবে। ভোট হবে কয়েকটি সংসদীয় ক্ষেত্রেও। এখন দেখার বাংলায় ফের কটি আসনে উপনির্বাচন হয়। বিধানসভা ও লোকসভা দুই ক্ষেত্রেই উপনির্বাচনের সম্ভাবনা প্রবল।

উপনির্বাচন হবে নিশীথ ও জগন্নাথের কেন্দ্রে

বিজেপির দুই সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার বিধানসভা ভোটে জয়ী হয়েছেন। তাঁদের সাংসদ পদ রেখে বিধায়ক পদ ত্যাগ করার সম্ভাবনাই প্রবল। তাঁরা যে পদই ছাড়ুন না কেন উপনির্বাচন হবেই। হয় বিধানসভা কেন্দ্র বা লোকসভা কেন্দ্রে এবার উপনির্বাচন হবে নিশীথ ও জগন্নাথের কেন্দ্রে।

লোকসভা না বিধানসভা ছাড়বেন, অপেক্ষা

রাজ্য বিধানসভার শপথ গ্রহণ পর্ব ইতিমধ্যে মিটেছে। নিশীথ প্রামাণিক বাদ দিয়ে কোচবিহারের সমস্ত বিজেপি সাংসদ শপথ নিয়েছেন বিধানসভায় বিধায়ক হিসেবে। নিশীথ শপথ না নেওয়াতেই জল্পনা বে়ড়েছে আরও। শপথ নেননি নদিয়ার জগন্নাথ সরকারও। তবে কি তাঁরা বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সাংসদ পদ রেখে দেবেন? এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি নিশীথ বা জগন্নাথ।

ভোটপর্বেই তিন কেন্দ্রে উপনির্বাচন বাধ্যতামূলক

বিধানসভা ভোটপর্বেই তিনটি আসনে উপনির্বাচন চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। মুর্শিদাবাদের দুটি আসন সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরের দুই প্রার্থীর করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। ফলে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। আর খড়দহে ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পর করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার। তিনিই জয়ী হন নির্বাচনে। ফলে এই আসনেও উপনির্বাচন বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিধানসভা ভোটের পর ফের নির্বাচনী দামামা বাংলায়

বিধানসভা ভোট মিটতে না মিটতেই করোনা আবহে নির্বাচনী দামামা বেজে গিয়েছে ফের। পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে পারে। বিজেপির দুই প্রার্থী যদি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন তবে তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র ও দুটি লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। মোট কথা পাঁচটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী।

মুকুল-শুভেন্দু নাকি সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ কেউ বিজেপির পরিষদীয় নেতা! বাছবেন ২ কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক

দুই সাংসদের দলবদলেও উপনির্বাচনের সম্ভাবনা

এছাড়াও আরও দুটি কেন্দ্রে উপনির্বাচনের সম্ভাবনা জোরদার হতে চলেছে। শিশির অধিকারী ও সুনীল মণ্ডল তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাই তাঁদের সংসদীয় নির্বাচনী ক্ষেত্রে উপনির্বাচন হতে পারে। সেক্ষেত্রে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি ও পূর্ব বর্ধমান কেন্দ্রে উপ নির্বাচনের সম্ভাবনা প্রবল।