মালদ্বীপের পশ্চিমে আছড়ে পড়ল চিনা রকেটের টুকরো
চায়না ম্যানড স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসের (সিএমএসই) মতে, লং মার্চ ৫বি ধ্বংস হওয়ার পর থেকেই গত কয়েকদিনে তা চরম চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছিল। চৈনিক সংবাদমাধ্যমের খবর, রবিবার সকাল ১০.২৪ নাগাদ অক্ষাংশ ৭২.৪৭ ডিগ্রি পূর্ব ও দ্রাঘিমাংশ ২.৬৫ ডিগ্রি উত্তরে ৫বির অবশেষ আছড়ে পড়ে। জানা যাচ্ছে, অকুস্থল মালদ্বীপের পশ্চিমে। যদিও চিনের দাবি, পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশের পরেই জ্বলে গিয়েছে অবশেষের অধিকাংশ।
দ্বিতীয়বারের জন্য ধাক্কা চিনের 'মহাকাশ' স্বপ্নে
চিনা সূত্রের মতে, ২০২০-র মে মাসে প্রথম লং মার্চ ৫বি উৎক্ষেপণের পর তা আইভরি কোস্টে ভেঙে পড়ে বেশ কিছু বিল্ডিং ক্ষতিগ্রস্ত করে। যদিও সেবারেও হতাহতের কোনো খবর মেলেনি। গত ২৯ শে এপ্রিল চিনের হাইনান দ্বীপ থেকে উৎক্ষেপণের পরে ভেঙে পড়ে লং মার্চ ৫বি দ্বিতীয় সংস্করণ, আন্তর্জাতিক সূত্র জানিয়েছে এমনটাই। কোথায় গিয়ে পড়বে ধ্বংসাবশেষ, সে বিষয়ে বেশ চিন্তিত ছিল গোটা দেশ। অবশেষে স্বস্তিতে জিনপিং সরকার।
কক্ষপথের সমস্যায় ধ্বংস লং মার্চ
পৃথিবীপৃষ্ঠের প্রায় তিনভাগ জল ও একভাগ স্থল হওয়ার কারণে ডাঙায় রকেট আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা যে কম, তা জানিয়েছেন মহাকাশ গবেষকরা। যদিও কক্ষপথ নির্ধারণে সমস্যা ও রকেটের জ্বালানিগত সমস্যা যেভাবে সামলেছে চিন, তাতে গোটা বিশ্ব আশা হারিয়েছে ড্রাগন গবেষণার উপর, মত বিশেষজ্ঞদের। হার্ভার্ডের মহাকাশবিদ জোনাথন ম্যাকডাওয়েল জানান, "নিউ ইয়র্ক, মাদ্রিদ বা বেজিংয়ের পাশাপাশি চিলি-ওয়েলিংটনের দক্ষিণে বা নিউজিল্যান্ডে অবশেষ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ছিল।"
বায়ু বাহিত হয়ে সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে করোনা ভাইরাসের, দাবি মার্কিন সিডিসির
রকেটের ডিজাইনে মন দেননি চিনারা : ম্যাকডাওয়েল
১৯৭৯ সালে নাসার মহাকাশ স্টেশন স্কাইল্যাব কক্ষপথ থেকে বিচ্যুত হয়ে আছড়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়ায়। এহেন ভয়াবহ ঘটনার পর থেকেই ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর উদ্দেশে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয় রকেট নির্মাণে। মহাকাশ গবেষক ম্যাকডাওয়েলের মত, "চিনা প্ৰযুক্তিবিশারদরা হয়তো এদিকে সেভাবে ডিজাইনের উপর নজর দেননি!" যদিও পশ্চিমী দেশগুলির এহেন আরোপ গায়ে মাখছে না চিন।