কলকাতা : দেশে ও রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি সংকটজনক। এই পরিস্থতিতে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ এবং চিকিৎসা সামগ্রীর উপর থেকে জিএসটি পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হোক। এই মর্মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে রবিবার চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর চিঠিতে লিখেছেন, যে সমস্ত চিকিৎসা সামগ্রী বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় বা হচ্ছে , সেগুলির ওপর থেকেও আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করে নিক কেন্দ্রীয় সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠিতে লিখেছেন, বেসরকারি সংস্থা, এনজিও, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং ব্যক্তি চিকিৎসা সামগ্রী কেনার বিষয়ে সরকারকে সাহায্যও করছে। এই সংস্থাগুলি বারবার আর্জি জানাচ্ছে যাতে চিকিৎসা সামগ্রী কেনার ব্যাপারে জিএসটি মকুব করা হয়। কেননা আইসিইউ সরঞ্জাম, ভেন্টিলেটর, ইত্যাদি সামগ্রী বাইরে থেকে কেনার জন্য আমদানি শুল্ক দিতে হয়। সেই শুল্কও মকুব করার দাবি মুখ্যমন্ত্রী তাঁরা চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানিয়েছেন। জিএসটি নির্ধারণের দায়িত্ব যেহেতু কেন্দ্রের হাতে, তাই কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পর পর চারটি চিঠি লিখলেন। সব কটিই করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী রবিবারের চিঠিতেও রাজ্যের করোনা চিকিৎসার জন্য অক্সিজেন, ভ্যাকসিন ইত্যাদির প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। চিঠিতে তিনি আবারও লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গের অক্সিজেন অন্য রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে। রাজ্যে বিজেপি নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে বলে রাজ্যকে বঞ্চিত করছে। রাজ্যে উৎপাদিত অক্সিজেন রাজ্যকেই দিতে হবে।”
রাজ্যে তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বুধবার শপথ নেওয়ার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্তরিকতার সঙ্গে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজ্যজুড়ে ঘোষণা করেছেন আংশিক লকডাউন। বহু সেফ হোম তৈরি হয়েছে এই সময়ের মধ্যে। তৈরী হয়েছে অক্সিজেন পার্লার । বিভিন্ন স্টেডিয়ামে বেসরকারীই হাসপাতালের সহায়তায় করোনা চিকিৎসার জন্য অস্থায়ী স্যাটেলাইট হাসপাতাল। পাঁচ দিন শপথ নিয়ে এই পরিমাণ কাজ করোনা চিকিৎসার জন্য করে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যের করোনা সংক্রমণ রুখতে তাঁর প্রয়াসে ঘাটতি নেই।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.