লুধিয়ানাঃ দেশে এখনও জারি করোনা (Corona) সংক্রমণ। এরমধ্যে চলতি বছরের গোড়াতেই দেশের মানুষের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল বার্ড ফ্লু (Bird Flu)। রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, কেরলে এবং বাংলাতাও এই রোগের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল সেই সময়। বার্ড ফ্লু একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক রোগ যা ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ-এ ভাইরাসের কারণে ছড়িয়ে পড়ে। একে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জাও (Avian Flu) বলা হয়। হু-এর একটি রিপোর্ট বলছে H5N1 সংক্রামিত ব্যক্তিদের মধ্যে মৃত্যুর হার প্রায় ৬০ শতাংশ। অর্থাৎ এই রোগে মৃত্যুর হার করোনার ভাইরাসের চেয়ে বেশি।
তবে সেই ভাইরাস থেকে সাময়িক স্বস্তি মিললে বিশেষজ্ঞ মহল দেশের সর্বত্র থেকে সাবধানতা আবলম্বনের জন্য একাধিক পোল্ট্রি ফার্মে গিয়ে বার্ড ফ্লু পরীক্ষা চালায়। সেই মত ভোপালের জাতীয় উচ্চ নিরাপত্তা প্রাণী রোগ ইনস্টিটিউট নিশ্চিত করেছে যে লুধিয়ানা (Ludhiana) থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে কিলা রায়পুরের একটি পোল্ট্রি ফার্মের নমুনাগুলি বার্ড ফ্লু রিপোর্ট পজিটিভ। এমনটাই জানা যায় সংবাদসংস্থার মাধ্যমে।
জেলা প্রশাসক ভারিন্দর শর্মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘পাঞ্জাব সরকার সেই পোল্ট্রি ফার্মকে সংক্রামিত অঞ্চল হিসাবে চিহ্নিত করেছে’। এছাড়াও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সরকারতার সিংয়ের নেতৃত্বে পরিস্থিতি তদারকি করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসক শর্মা জানালেন, সেই কমিটি নিশ্চিত করবে যে কোনও জীবিত বা মৃত পাখি, অপ্রসারণযোগ্য হাঁস-মাংস, ডিম, ফিড বা অন্য কোনও সামগ্রী বাইরে নিয়ে যাওয়া বা পোল্ট্রি ফার্মে আনা হবে না।
প্রসঙ্গত, এদিকে আরও একটি মারণ ভাইরাস করোনা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা বিশ্বে। এখনও পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ৩০ লক্ষেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এই ভাইরাস কবলে পড়ে। কিন্তু শুধু এই করোনা ভাইরাস নয়, আতঙ্ক বাড়াচ্ছে বার্ড ফ্লু।
চলতি বছরের প্রথমের দিকে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসটির প্রথম হদিস মেলে রাশিয়ার একটি পোলট্রি ফার্মে। বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণ করতে তৎক্ষনাৎ ৮ লাখ মুরগিকে তৎক্ষণাৎ মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেখানে। জানিয়ে দি, শুধু মুরগির জন্য নয়, বার্ড ফ্লু মানুষের জন্যও অত্যন্ত চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.