দিল্লিতে তরুণ কুস্তিগীরের খুনের ঘটনায় এফআইআর দায়ের হওয়া তারকা সুশীল কুমারের খোঁজ এখনও পায়নি পুলিশ। অলিম্পিক থেকে ভারতকে পদক এনে দেওয়া কুস্তিগীর এবং তাঁর বন্ধুরাই যে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ভাগতু ও রবীন্দর নামের আরও দুই কুস্তিগীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এ সংক্রান্ত তথ্য ও প্রমাণ জড়ো করা হয়েছে বলে তদন্তকারীদের তরফে জানানো হয়েছে।
গত ৪ মে ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তর দিল্লির ছত্রশাল স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সে। অনুশীলন চলার সময় ভারতের তরুণ কুস্তিগীর কুমার, অজয়, প্রিন্স, সোনু, সাগর এবং অমিতের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। ঘটনায় সাগর ধনকড় নামের ২৩ বছরের কুস্তিগীরের মৃত্যু হয়েছিল। তাঁর বাবা দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবল বলে জানানো হয়েছে। ঘটনায় আহত সোনু মহল ও অমিত কুমারের চিকিৎসা চলছে।
তদন্তে নেমে ঘটনাস্থলে থাকা দাঁড়িয়ে থাকা একটি স্করপিও গাড়ি থেকে পাঁচটি কার্তুজ সহ ডবল ব্যারেল গান এবং দুটি কাঠের লাঠি উদ্ধার করেছে পুলিশ। অস্ত্র আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। মৃত কুস্তিগীরের পরিবারের সদস্যদের তরফে জানানো হয়েছে যে ঘটনাস্থলে ছিলেন সুশীল কুমার। যদিও ঘটনার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। বাকি অভিযুক্তদেরও খোঁজ চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশ। স্টেডিয়ামের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপরাধীদের চিহ্নিতকরণের চেষ্টা চলছে।
ভয়ঙ্কর করোনা কাল শেষ হোক ভারতে, নিউজিল্যান্ডে ফিরে প্রার্থনা বোল্টের
যদিও এই সংঘর্ষের আসল কারণ এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে কেনই বা যুক্ত হল সুশীল কুমারের নাম, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অলিম্পিকে পদকজয়ী কুস্তিগীরের পরিবারের সদস্যদের জেরা করতে পারেন তদন্তকারীরা।