মুম্বই: স্থগিতাদেশ জারি হওয়ার পর থেকেই চতুর্দশ আইপিএলের অবশিষ্ট অংশ কীভাবে সম্পূর্ণ হবে, তা নিয়ে নানা জল্পনা। ভারতে টুর্নামেন্ট আয়োজনের সম্ভাবনা কার্যত না থাকায় কখনও ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্লাব আবার কখনও দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আয়োজনের জন্য এগিয়ে আসছে। কিন্তু আইপিএল হবে কোন উইন্ডোতে? চলতি বছরের বাকি সময়টা ভারতীয় দলের যা ঠাসা আন্তর্জাতিক ক্রীড়াসূচি তাতে পুনরায় আইপিএল আয়োজনের উইন্ডো খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর।
তাই প্রাথমিকভাবে ১৮-২২ জুন ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল এবং ৪ অগস্ট ইংল্যান্ড সফরের প্রথম টেস্ট শুরুর মধ্যবর্তী সময়টাকে আইপিএলে’র সম্ভাব্য উইন্ডো বলে মনে করছিলেন অনেকে। কিন্তু সেই সম্ভাবনা পত্রপাঠ খারিজ করে দিলেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। স্পোর্টসস্টার ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘মহারাজ’ জানালেন তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। কিন্তু শুধু সম্ভাবনা নেই বলেই থামেননি তিনি, ভারতীয় দল ওই উইন্ডোয় শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে বলে ঘোষণা করলেন বিসিসিআই সভাপতি।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী জুলাইতে দ্বীপরাষ্ট্রে তিন ম্যাচের ওয়ান-ডে এবং পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলবে ‘মেন ইন ব্লু’। সৌরভ বলেন, ‘টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল এবং ইংল্যান্ড সিরিজের মাঝে আইপিএলের কোনও সম্ভাবনাই নেই। ভারতীয় দল ওই সময় শ্রীলঙ্কায় তিনটি ওডিআই এবং পাঁচটি টি-২০ ম্যাচ খেলবে। আইপিএল আয়োজনের জন্য ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন-সহ অনেক ঝক্কি রয়েছে। ভারতে আইপিএল আয়োজন সম্ভব নয়। কোয়ারেন্টাইন সামলানো মুখের কথা নয়। সুতরাং, কীভাবে আমরা আইপিএল সম্পূর্ণ করতে পারব সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়।’
সবমিলিয়ে বিসিসিআই সভাপতির মন্তব্যে চতুর্দশ আইপিএল সম্পূর্ণ করার প্রশ্নে যে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন পড়ে গেল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। একইসঙ্গে বায়ো-বাবলে ক্রিকেটারদের জীবনকে ‘কঠিন’ বলে সম্বোধন করেছেন সৌরভ। তাঁর কথায়, ‘বাবলের জীবন অত্যন্ত কঠিন। সবচেয়ে কঠিন কাজ এটা। গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে বিশ্বের সিংহভাগ ক্রিকেটার বায়ো-বাবলেই কাটাচ্ছে। কোনও বিকল্পও নেই এর। বাবল ছাড়া ক্রিকেট সম্ভব নয় এই মুহূর্তে।’
উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে ইংল্যান্ড উড়ে যাওয়ার আগে দেশের মাটিতে ৮দিন বায়ো-বাবলে থাকতে হবে ভারতীয় ক্রিকেটারদের। ইংল্যান্ডে গিয়ে আবার ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইন বরাদ্দ হবে ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্য। সবমিলিয়ে ১৮ দিন। যদিও ইংল্যান্ডে পৌঁছে অনুশীলনে ছাড় রয়েছে ক্রিকেটারদের।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.