স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: ক্ষমতায় ফিরলে রাজ্যবাসীকে বিনা খরচায় ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ভোটের আগেই ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরে সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে উদ্যোগী হলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কোষাগার থেকে মোটা অংকের অর্থ খরচ করে এবার ভ্যাকসিন কিনল রাজ্য।

আরও পড়ুন: জ্বালানি জিএসটি-র অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি বাস মালিকদের

প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ৫ লক্ষ কোভিড টিকার বরাত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেইমতো বরাতও দেওয়া হয়েছিল সংস্থাগুলিকে। এর পরই রবিবার সকালে রাজ্যে এসে পৌঁছল ২ লক্ষ কোভ্যাক্সিন (Covaxine)। কোভিশিল্ডের প্রতি ভায়ালের দাম ৪০০ টাকা আর কোভ্যাক্সিনের প্রতি ভায়ালের দাম ৬০০ টাকা ধার্য হয় রাজ্যগুলির জন্য। গড়ে ভায়াল পিছু ৫০০ টাকা দামে কোভ্যাক্সিন কিনল রাজ্য। উল্লেখ্য, ৫ মে রাজ্যে আসে ১ লক্ষ কোভ্যাক্সিন। একই দিনে এসে পৌঁছায় আরও ৪ লক্ষ ডোজ কোভিশিল্ড। কেন্দ্রীয় সরকার এই ভ্যাকসিন পাঠিয়েছিল৷

আরও পড়ুন: কতদিনের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ? না নিলে কী ক্ষতি-জানালেন চিকিৎসকেরা2

প্রসঙ্গত, নিজের টাকায় ভ্যাকসিন কিনতে চাইলেও, কেন্দ্রীয় সরকার তাতে সাড়া দেয়নি বলে এর আগে একাধিক বার অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই ক্ষমতায় ফিরেই এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি মোদীকে চিঠিতে দেন মমতা৷ তিনি লেখেন, ‘২৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যাকসিন কিনতে চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম আপনাকে। বিনামূল্যে রাজ্যবাসীর টিকাকরণ শুরু করতে চেয়েছিলাম। এখনও কোনও সাড়া পাইনি। এই মুহূর্তে হাসপাতালে শয্যা, অক্সিজেন, ওষুধ এবং ভ্যাকসিনের ঘাটতি যে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে, তার জন্য ফের লিখছি।’’

সারা দেশে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে করোনার সংক্রমণ। আক্রান্তের সংখ্যা লাগামহীন। রাজ্যেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের কাছাকাছি। এই অবস্থায় ভ্যাকসিনেশনই রোগমুক্তির অন্যতম হাতিয়ার। কিন্তু সেই ভ্যাকসিন পেতেই রীতিমতো কালঘাম ছুটছে অসংখ্য মানুষের। দেশের অন্যান্য কয়েকটি রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গেও ভ্যাকসিনের আকাল অব্যাহত। সরকারি হাসপাতালে প্রথম ডোজ পাওয়া যাচ্ছে না। বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে ভ্যাকসিনেশন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.