হাড়োয়ায় প্রচারে গিয়ে বিধিভঙ্গের অভিযোগ
বাবুল সুপ্রিয় উত্তর ২৪ পরগনায় হাড়োয়ায় গিয়েছিলেন দলীয় প্রার্থী রাজেন্দ্র সাহার হয়ে প্রচারে। সেখানে তিনি পুলিশের অনুমতি ছাড়া রোড শো করে স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করেছিলেন বলে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল হাড়োয়া থানায়। সেই অভিযোগের জেরেই রবিবার তাঁকে চিঠি পাঠানো হয় হাড়োয়া থানার তরফে। সেই চিঠিতে আগামী তিনদিনের মধ্যে হাড়োয়া থানায় হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখে পুলিশের মনে হয়েছে, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। তাই তাঁকে থানায় যেতে নির্দেশ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ বাবুলের
হাড়োয়া থানা তাঁকে চিঠি পাঠানোর পরেই, সেই চিঠিটি তিনি ফেসবুকে পোস্ট করে কটাক্ষ করেন। সেখানে তিনি লেখেন, মমতা দিদির পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন। হাড়োয়ায় তিনি দলের প্রার্থীর প্রচারে গিয়েছিলেন। মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। তিনি আরও লিখেছেন, তাঁর আইনজীবীরা আইনত যেটা দরকার, সেটাই করবেন। বাবুল সুপ্রিয় হাড়োয়ার পুলিশের এই পদক্ষেপকে কার্যত প্রতিহিংসা হিসেবে দেখে কটাক্ষ করেছেন।
কলকাতায়েও করোনা বিধি শিকেয় তোলার অভিযোগ
এন্টালিতে দলীয় প্রার্থীর প্রচারে হওয়া তাঁর সভায় করোনা বিধি শিকেয় তোলার অভিযোগ উঠেছিল। তার জন্য অবশ্য বাবুল সুপ্রিয় পুলিশের পদক্ষেপকে দায়ী করেছিলেন। ওই সভায় তিনি নিজের করোনা সতর্কতা পালন করলেও, সভায় তেমনভাবে করোনা-বিধি পান করা হয়নি বলে অভিযোগ। অনেকের মুখে যেমন মাস্ক ছিল না, ঠিক তেমনই সামাজিক দূরত্ব মানা হয়নি বলেও অভিযোগ।
নেপথ্যে শাসক দল
এখনও পর্যন্ত শুধু হাড়োয়ার ক্ষেত্রেই তাঁর বিরুদ্ধে করোনা বিধি না মানার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এব্যাপারে তাঁর নিশানা রাজ্যের শাসকদল। প্রসঙ্গত এবারের ভোট পর্বের একেবারে শেষের দিকে বাবুল সুপ্রিয় করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এটা করোয়া আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একাধিক প্রার্থী যেমন করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, ঠিক তেমনই করোনা আক্রান্ত হয়ে একাধিক প্রার্থীর যেমন মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক সভাগুলিতে করোনা বিধি কতটা মানা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল ভোট পর্বের সময়ই।