করোনার আবহে বেঙ্গালুরুর ভুলে মালদ্বীপে স্থগিত এটিকে মোহনবাগানের এএফসি কাপের ম্যাচ

বেঙ্গালুরু এফসি-র ভুলে মালদ্বীপে স্থগিত হল এটিকে মোহনবাগানের এএফসি কাপের ম্যাচ। যদিও তাতে খুব একটা হতাশ নয় সবুজ-মেরুন। অতিমারী পরিস্থিতিতে প্রতিযোগিতা স্থগিত রাখার আবেদন বহু আগে থেকেই করে আসছিল কলকাতার ফুটবল ক্লাব। পক্ষান্তরে তাদেরই জয় হওয়ায় উল্টে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে এটিকে মোহনবাগান।

ভুল করছেন বেঙ্গালুরু

এএফসি কাপে প্লে অফের ম্যাচ খেলতে শুক্রবার মালদ্বীপে পৌঁছেছিল বেঙ্গালুরু এফসি। ১১ মে অর্থাৎ মঙ্গলবার ঈগলসের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলার কথা ছিল সুনীল ছেত্রীদের। সেই মতো শনিবার মালেতে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছিল বেঙ্গালুরু এফসি। কোনও ভাবে মালদ্বীপ সরকারের করোনা বিধি লঙ্ঘনও করে ফেলেছিল এক বারের আইএসএল চ্যাম্পিয়নরা। ফলে বেঙ্গালুরু এফসি-কে ভারতে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে সে দেশের প্রশাসন। যদিও সুনীল ছেত্রী নেতৃত্বাধীন দল কী ধরনের করোনা বিধি লঙ্ঘন করেছে, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।

স্থগিত ডি গ্রুপের ম্যাচ

মালদ্বীপের ক্রীড়ামন্ত্রী আহমেদ মাহলফ টুইট করে বলেছেন, বেঙ্গালুরু এফসি-র ফুটবলাররা মালদ্বীপের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশিকা লঙ্ঘন করেছেন। সুনীল ছেত্রীদের থেকে এমন আচরণ প্রত্যাশিত নয় বলে জানিয়েছেন আহমেদ। দেশের ক্রীড়ামন্ত্রীর নির্দেশে বেঙ্গালুরু এফসি-কে ভারত ফেরত যেতে বলেছে মালদ্বীপ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। পাশপাশি তারা প্রতিযোগিতা স্থগিত রাখার জন্য এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন বা এএফসি-র সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। দেরি না করে এএফসি কাপে ডি গ্রুপের ম্যাচ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়োজক সংস্থা। ম্যাচগুলি ফের কবে হবে, তা অবশ্য এখনই বলা হচ্ছে না।

স্থগিত এটিকে মোহনবাগানের ম্যাচ

এএফসি কাপের ডি গ্রুপে খেলার কথা ছিল ২০২০-২০২১ মরসুমের আইএসএল রানার্স এটিকে মোহনবাগানের। একই বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল বাংলাদশের বসুন্ধরা কিংস ও মালদ্বীপের মেজিয়া এফসি-র। মালেতে হওয়ার কথা ছিল ম্যাচগুলি। তার আগে একই শহরে মালদ্বীপের ঈগলস ক্লাবের সঙ্গে প্লে অফ ম্যাচ খেলার কথা ছিল বেঙ্গালুরু এফসি-র। জিততে পারলে ডি গ্রুপে প্রবেশ করতে পারতেন সুনীল ছেত্রীরা।

করোনা কালে সবুজ-মেরুনের জন্য স্বস্তি

মালদ্বীপে এএফসি কাপের ডি গ্রুপের ম্যাচগুলি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে এটিকে মোহনবাগান। প্রবীর দাস, শেখ সাহিল সহ সবুজ-মেরুনের একাধিক ফুটবলার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই অবস্থায় এএফসি কাপ খেলার জন্য তাদের পক্ষে মালদ্বীপে দল পাঠানো অসম্ভব ছিল বলে জানিয়েছিল আইএসএল রানার্সরা। প্রতিযোগিতা স্থগিত রাখার জন্য এএফসি-কে একাধিকবার চিঠিও লিখেছিল কলকাতার ক্লাব।