মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সোনোয়ালের পদত্যাগ, অসমের কুর্সিতে হিমন্তের অধিষ্ঠানের জল্পনা নিয়ে টানটান উত্তেজনা

এই নিয়ে পর পর দু'বার অসমের মসনদ দখলে রাখল বিজেপি। তবে ভোটের পরবর্তী সময় থেকেই সেখানের মুখ্যমন্ত্রী পদে কে বসবেন, তা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা রয়েছে। এদিন এই ইস্যুতে অসমে গুয়াহাটি অডিটোরিয়ামে বিজেপির হাইকমান্ড বসছে বৈঠকে।

সর্বানন্দের পদত্যাগ

এদিন সকালে রাজ্যপাল জগদীশ মুক্তির কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পেশ করেন সর্বানন্দ সোনোয়াল। এর আগে থেকেই সর্বানন্দ সোনোয়ালকে ঘিরে জল্পনার পারদ চড়েছে অসমের রাজনৈতিক মহলে। বহু ,সূত্র দাবি করছে, অসম থেকে রাজ্যসভায় একটি আসন বাকি রয়েছে, সেক্ষেত্রে সোনোয়ালের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কোনদিকে যায় , তা নিয়ে জল্পনার পারদ চড়েছে।

হিমন্ত জোর আলোচনায়

বিজেপির পরিষদীয় বৈঠকে ইতিমধ্যেই হিমন্ত বিশ্বশর্মা বিধানসবার নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে তিননিই যে অসমের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন, তার গুঞ্জন অসম জুড়ে।বহু সূত্রের খবর, অসমের কুর্সি সম্ভবত হিমন্ত বিশ্বশর্মার কাছে যেতে পারে। এই নিয়ে বিধায়কদের সঙ্গে এদিন বিজেপি বসছে বৈঠকে। সেখানে হিমন্তের 'লবি' কতটা জোরালো জায়গায় আছে , তা নিয়েও অসমের রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা। মূলত, এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসাবে অসমে মন্ত্রিসভায় ছিলেন হিমন্ত।

অসমের রাজনীতি ও হিমন্ত

২০১৪ সালে কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেন হিমন্ত। গোটা অসমের রাজনীতিতে তিনি অন্যতম 'চাণক্য' হিসাবে পরিচিত। তাঁর রাজনৈতিক মাটিও অসমের বুকে বেশ পোক্ত। মূলত ২০১৬ সালে অসমের মুখে বিধানসভা ভোটে বিজেপির মুখ ছিলেন সর্বানন্দ সোনয়াল। তবে পার্টির সংগঠন জোরালো করতে হিমন্ত হয়ে উঠেছিলেন নেপথ্য কাণ্ডারী। সেই কাণ্ডারীকে এবার অসম বিজেপি মুখ্যমন্ত্রিত্ব দেবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা।

বিরোধিদের বড় স্ট্র্যাজেটি বুমেরাং হতেই অ্যাডভান্টেজ পায় অসম-বিজেপি, ভোটে কোন খাতে কেল্লা ফতে করলেন হিমন্তরা

পর পর চ্যালেঞ্জ ও হিমন্ত ফ্যাক্টর

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটেও অসমের বুক থেকে বিজেপির ইতিবাচক ভোট অঙ্কের নেপথ্য নায়ক হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এদিকে, পরবর্তী পর্যায়ে উত্তরপূর্বের এই রাজ্যে এনআরসি, সিএএর মতো ইস্যু অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি করার পর তার ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে বিজেপিকে অসমের বুকে মাইলেজ পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে হিমন্তের ভূমিকা অপরিহার্য বলে দাবি বহু সূত্রের।