জেলাগুলিতে কোভিড সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিচ্ছে, ৪ মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন প্রধানমন্ত্রীর

উত্তরপ্রদেশের একটি প্রাইভেট ডায়গনোস্টিক সেন্টার কয়েক সপ্তাহ টেস্টিংএর গতি কমতিতে রেখেছিল বলে এক মিডিয়া রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হচ্ছে, প্রশাসনের 'আনঅফিশিয়াল' নির্দেশের জেরে এমনটা তারা করতে বাধ্য হন। এই খবর ঘিরে চাঞ্চল্যের মাঝেই দেশের জেলাগুলিতে করোনার বাড়বাড়ন্ত ভয়াবহ আকার নিতে শুরু করেছে। সেই পরিসংখ্যান যেমন একদিকে সামনে আসছে, তেমনই অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনা পরিস্থিতিতে ফোন করলেন দেশের ৪ মুখ্যমন্ত্রীকে।

জেলার পরিস্থিতি ও করোনা পরিসংখ্যান

দেশের ৭৪১ টি জেলার মধ্যে ৩০১ টি জেলায় ২০ শতাংশের ওপর করোনার পজিটিভিটি রেট রয়েছে। এদিকে, দেশের ১৫ টি জেলা য় দেখা যাচ্ছে মারাত্মকভাবে বাড়ছে করোনা। সেখানে ৫০ শতাংশের বেশি করোনা পজিটিভিটি রয়েছে।

গ্রামের দিকেও ভয়াবহতা

প্রসঙ্গত দেশের ১৫ টি জেলায় যেভাবে ৫০ শতাংশ পজিটিভিটি বেড়েছে,তাতে আগামীদিনে করোনা ভয়াবহ চেহারা নিতে পারে। প্রসঙ্গত, হরিয়ানা, অরুণাচল প্রদেশ, রাজস্থানের ২ টি করে জেলায় এমন চিত্র দেখা গিয়েছে। যে জেলাগুলির বেশিরভাগই গ্রামাঞ্চলের মধ্যে পড়ে। ফলে পরিস্থিতি বেশ গম্ভীর বলে মনে করা হচ্ছে।

দ্রুত হারে কোভিড ছড়াচ্ছে

প্রসঙ্গত গোটা দেশজুড়ে দ্রুত হারে ছড়াতে শুরু করে দিয়েছে কোভিড। পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে, দেশের ৩৬টি রাজ্যের ৩১ টি জেলায় ২০ শতাংশের বেশি পজিটিভিটি রেট। যা নিঃসন্দেহে একটি আতঙ্কের দিক। অরুণাচল প্রদেশের মতো উত্তরপূর্বের রাজ্যের চাংলাংয়ে ৯১ শতাংশ পজিটিভিটি রেট দেখা গিয়েছে। এরপরই রয়েছে পুদুচেরির ইয়ানম জেলা।

প্রধানমন্ত্রীর ফোন

এদিকে, পাহাড়ি এলাকায় করোনার বাড়বড়ন্তের জেরে হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেও করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।