করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর অনেক রোগী প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো বাড়িতেই বিশ্রাম নিয়ে চিকিৎসার মধ্যে দিয়ে সুস্থ হলেও অনেককে আবার নানাধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

বিশেষ করে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে কারো শারিরীক অবস্থার অবনতি হয়ে গেলে সেক্ষত্রে তার প্রকৃত অবস্থা বোঝার জন্য নানাধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।

সিআরপি (CRP): শরীরে কোনো বেড়ে ওঠা ভাইরাস লুকিয়ে আছে কি-না তা বোঝার জন্য চিকিৎসকরা এর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সি-রিঅ্যাক্টিভ প্রোটিন (CRP) পরীক্ষা হৃদরোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকলে সেটাও খুঁজে বের করতে সাহায্য করে।

ফেরেটিন: রক্তে আয়রনের মাত্রা পরীক্ষা করা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা রয়েছে বোঝার জন্য এই টেস্ট করা হয়। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের শরীরে একপর্যায়ে আয়রন ঘাটতি দেহ দিতে পারে।

সেটি জানার জন্যই চিকিৎসক এই টেস্টটি দিয়ে থাকেন।

আরটি পিসিআর (RTPCR): করোনারকোনো লক্ষণ দেখা দিলে বা করোনা রোগীর সংস্পর্শে এলেই করোনা পরীক্ষা করানো উচিত। ভাইরাসটির কারণে উপসর্গ দেখা দিচ্ছে কি-না সেটা বুঝতে গলার ভেতরে এবং নাকের গোড়ার কাছ থেকে তুলো দিয়ে লালা সংগ্রহ করে এই পরীক্ষা করা হয়।

ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা করে বোঝা যায় যে রোগী পজিটিভ নাকি নেগেটিভ।

আরবিএস: কারো শরীরে ডায়াবেটিস আছে কি-না বা রক্তে সুগার লেভেল কতটা রয়েছে সেই সম্পর্কে জানতে এই পরীক্ষা করা হয়।

প্রোক্যালসিটোনিন: করোনায় আক্রান্ত রোগীর অবস্থা মাঝে মাঝেই দ্রুত খারাপ হয়ে যায়। এমন মারাত্মক ব্যাকেটরিয়াল ইনফেকশন সম্পর্কে ধারণা লাভ করা জন্য এই টেস্ট করা হয়।

এস ক্রিয়েটিনিন: রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নির্ণয় করলে বোঝা যায় কিডনি কতটা ভালো আছে। ক্রিয়েটিনের মাত্রা নির্দিষ্ট লেভেলের উপরে উঠলেই মনে করতে হবে যে তার কিডনি সমস্যা হয়েছে।

করোনায় আক্রান্তদের কিডনি নিয়ে সমস্যা থাকে।

এবিজি: আর্টেরিয়াল ব্লাড গ্যাস বা এবিজি টেস্টের মাধ্যমে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা দেখা হয়। রক্তচাপ ও হার্ট রেট দেখার জন্যও কাজে লাগে এই পরীক্ষা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.