অসুস্থতার পরে আত্মীয়ের সঙ্গে ফোনে কথা
যোগী রাজ্যে সেই সময় চলছি অক্সিজেনের সংকট। অযোধ্যার বাসিন্দা লালজি এবং রেখা যাদব স্থানীয় কোনও হাসপাতালে কথা বলে আশ্বস্ত হতে পারেননি। সেই সময় মগরায় থাকা আত্মীয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় ফোনে কান্নাকাটি করেন। সেই সময় ওই আত্মীয় তাঁদেরকে বাংলায় আসতে বলেন। ৬০ হাজার টাকা দিয়ে অ্যাম্বুন্যান্স ভাড়া করে লালজি এবং রেখা যাদব বাংলার উদ্দেশে রওনা দেন ২৩ এপ্রিল।
চুঁচুড়ার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি
বাংলায় আসার পরে ২৬ এপ্রিল চুঁচুড়ার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন লালজি এবং রেখা যাদব। রেখা যাদবের অবস্থা ততটা গুরুতর না হলেও, লালজি যাদবের অবস্থা ছিল সংকটজনক। সেখানেই হাইফ্লো অক্সিজেনে চিকিৎসা। সেখানে লালজি যাদবকে রেমডেসিভিরও দেওয়া হয়। যা হয়েছিল সরকারি উদ্যোগে।
চিকিৎসা পরিষেবায় খুশি রোগী
তেরো দিনের মাথায় হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে খুশি লালজি যাদব। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ভাল পরিষেবার কথা। চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
খুশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও
ভিন রাজ্য থেকে আসা করোনা আক্রান্তকে সুস্থ করে ফেরাতে পেরে খুশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। রোগীর আশা পূরণ করতে পেরে তারা খুশি। এদিন সকালে বেসরকারি হাসপাতালে পক্ষ থেকে রোগীকে ছেড়ে দেওয়ার সময় মালা পরিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষরে তরফে বলা হয়েছে, এই ঘটনা রাজ্যের জয়, রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জয়।