মোরেনাঃ দেশজুড়ে যখন মারণ ভাইরাসের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড পরিস্থিতি সামাল দিতে একাধিক রাজ্য লকডাউন এবং কারফিউয়ের শরণাপন্ন হচ্ছে, তখন সেই সব এলাকায় থেকে একেরপর উঠে আসছে হাড়হিম করার করার মত খবর। করোনা নিয়ে মর্মান্তিক দৃশ্য তো অহরহ দেখতে মিলছে কিন্তু কোনও ‘ভোট পরবর্তী’ ছাড়াই এবার ভরদুপুরে হিংসাত্মক রূপ ধারণ করল মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) মোরেনা। লকডাউনের বিধি অমান্য করে দুই বাইক বাহিনীর মধ্যে চলে দীর্ঘক্ষনের গুলির লড়াই।

জানা যাচ্ছে, কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত বাঁকান্দি রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সেই সময় ওই রাস্তা দিয়ে এক মহিলা হাসপাতালে দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর মাথায় গুলির আঘাত লাগে গুরুতর আহত হন। জানা যাচ্ছে, এক মহিলাকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় একদল আর একদলের এক সদস্যকে মারধর করে। সেই মারধরকে কেন্দ্র করেই এদিন দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গুলির লড়াই চলে। সেই সময় ১০০টির বেশি গুলি চলে বলে জানা গিয়েছে।

স্থানীয়রা গুলির আওয়াজ শুনতে পেয়েই পুলিশে খবর দেয়, তৎক্ষনাৎ বিশাল পুলিশবাহিনী এসে চারজনকে গ্রেফতার করে।বাকিরা পালিয়ে যায়। পরে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে আরও ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডাঃ রাইসিং নারওয়ারিয়া মন্তব্য করেন, ‘আমরা তাদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছি, যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’

উল্লেখ্য, ঘটনায় আহত মহিলার স্বামী প্রদীপ শর্মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, ‘আমার স্ত্রী চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎই তিনি দেখতে পান পিছন দিয়ে বিশাল বাইক বাহিনী হাতে বন্দুক-রাইফেল নিয়ে এগিয়ে আসছে। তখন রাস্তা থেকে নেমে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার সময়ই আহত হন আমার স্ত্রী।’ এছাড়াও যে হারে নির্বিচারে সেখানে গুলি চালানো হয়েছে, তার প্রমাণ রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকা বাস এবং আশেপাশের বাড়ি গুলির গায়ে গুলির ক্ষত দেখলেই অনুমান করা যায়।

প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan) ঘোষণা করেছিলেন ১৫ মে অবধি কঠোর জনতা কারফিউ বিধি। সে রাজ্যে করোনার পজটিভিটি রেট উচ্চ হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এদিন সেই কঠোর বিধি অমান্য করে গুলি লড়াইয়ে যুক্ত হওয়ায় পুলিশের তরফে কড়া শাস্তির কথা জানানো হয়।

#CoronaCurfew not in Morena! dozens masked riding mobikes openly firing targeting the other caste over a social media post! @GargiRawat @ndtv @ndtvindia pic.twitter.com/B7GG8tXAa1

— Anurag Dwary (@Anurag_Dwary) May 8, 2021

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.