নয়াদিল্লিঃ বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলি লাগাতার নিজেদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে। বহিঃশত্রু এবং দেশের অন্দরের সুরক্ষা বজিয়ে রাখতে প্রায় সব দেশই প্রত্যেক বছরের বাজেটে সামরিক খাতে অর্থ বরাদ্দ করে। এবার ভারত এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের নৌশক্তি বৃদ্ধির জন্য ছয়টি পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন বানাতে চেয়ে মোদীকে আবেদন জানাল নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিং (Admiral Karambir Singh)। জানা যাচ্ছে, বহিঃবিশ্বের সামরিক শক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানাতেই এই ছয়টি সাবমেরিন প্রয়োজন।

গত ৪ মার্চ গুজরাতের কেভাড়িযায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর বৈঠকে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি আলোচনা হয় শীর্ষদের মধ্যে। তারপরই গত ৩ মে নৌ বাহিনীর প্রধানের সাথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Modi) বৈঠকের সময় এই ৬টি সাবমেরিনের (Submarine) প্রয়োজনীয়তার কথা জানান তিনি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন গোটা দেশে বিপর্যস্ত পরিস্থিতি তখন পশ্চিম এশীয় দেশগুলি থেকে অক্সিজেন আমদানির জন্য ‘সমূদ্রসেতু ২’ নিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর শীর্ষ কর্তার সাথে বৈঠকে বসেন মোদী। সেদিনই জানানো হয় এটি।

জানা যাচ্ছে, ভারত এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে (Indo Pacific Region) নৌ-বাহিনীর কয়েকটি জাহাজ আছে, যেগুলি আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জতে ওষুধ সহ অন্যান্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে কাজে লাগানো হয়। এই সাথেই ওই অঞ্চল গুলিতে এবার পারমানবিক শক্তিচালিত সাবমেরিনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে শুরু করেছে, এটি শুধুমাত্র ওই এলাকগুলিতে টহলদারির জন্য নয়, বহিঃশত্রুদেরকে সরাসরি আক্রমণ করে পিছু হটিয়ে দিতেও প্রয়োজন।

পাশাপাশি নৌসেনা প্রধান মোদীকে আরও বলেন যে “ভবিষ্যতটি কেবল ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেই নয়, বরফক্ষেত্রগুলি কমার কারণে উন্মুক্ত হবে এমন আর্কটিক রুটও রয়েছে, সেখানেও প্রয়োজন’। এসএসএন-গুলির কেবলমাত্র খাদ্য এবং অন্যান্য রসদ সরবরাহের প্রয়োজন হয় এমনটা নয়। এর পাশাপাশি অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র বহন করার সময় দীর্ঘ পরিসরের টহল পরিচালনা করতে পারে এই সাবমেরিন গুলি।  ভারতে বর্তমানে রাশিয়ার কাছ থেকে একটি লিজ নেওয়া ‘আকুলা ক্লাস’ এসএসএন এবং একটি দেশীয়ভাবে নির্মিত ‘ব্যালিস্টিক’ ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন (SSBN) রয়েছে।

কিন্তু  নৌবাহিনী এখনও কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছ থেকে প্রয়োজনীয়তার জন্য আরও কয়েকটি সাবমেরিনের গ্রহণযোগ্যতা চাইছে, জাতীয় সুরক্ষা পরিকল্পনাকারীরা চিনের বাহিনীতে ব ১২টি এসএসএন এবং স্ট্রাইক ফোর্সে সাতটি ব্যালিস্টিক মিসাইল সাবমেরিন যুক্ত করার বিষয়টি ভারতের অতিরিক্ত সাবমেরিন নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন করে তুলছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.